মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি।
শেরপুরে গত ক'দিনের অবিরাম বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি কিছু টা উন্নতি হয়েছে । তবে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। উজানে উন্নতি হলেও ভাটি এলাকায় এখনও পানিবন্দি রয়েছে শতশত মানুষ । দুর্ভোগ বেড়েছে পানিবন্দি মানুষের। সরকারি সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
জানা গেছে, গত শুক্রবার জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলার চেল্লাখালী,ভোগাই ও ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশি, সোমেশ্বরী ও কালঘোষা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ঢলের পানির তোড়ে নদীর পার ভেঙ্গে ও ঢলের পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ঝিনাইগাতী,শ্রীবরদী, নকলা ও নালিতাবাড়ি উপজেলার ২০ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে অর্ধশতাধিক গ্রামের শতশত মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরে।
চেল্লাখালি নদীর পানির তোড়ে
২ টি বেইলী সেতু বিধ্বস্ত হয়। রাস্তাঘাট ভেঙে জেলার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভ্যন্তরীন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। এলজিইডির শেরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন শেরপুরসদরসহ ৪টি উপজেলায় ২২টি রাস্তার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্তা চালু রাখতে বিভিন্নভাবে কয়েকটি ইউনিট কাজ করছে বলে তিনি জানান।
মহারশি নদীর রামেরকুড় বাধঁ ভেঙ্গে ও সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে শ্রীবরদী উপজেলার ১০টি গ্রামসহ তিন উপজেলার অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই।
ঘরে ঘরে ঢলের পানি প্রবেশ করায় চোলা জ্বলছে না পানিবন্দি মানুষের। গবাদিপশু, হাসঁ মুরগীসহ গৃহপালিত পশু নিয়ে বিপাকে রয়েছেন কৃষকরা। রাস্তাঘাট ভেঙে চলাচল অনুপযোগি হয়ে পরেছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে পুকুর তলিয়ে শতশত পুকুরের মাছ ভেসে গেছে।
উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে যেতে শুরু হলেও
ভাটি এলাকাগুলোতে এখনও প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি। কোন কোন এলাকার মানুষ কলার ভেলা ও নৌকা যোগে যাতায়াত করতে হচ্ছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শতশত মানুষের। দ্বিতীয় দফায় বন্যায় পানিতে ডুবে শিশুসহ ৪ জনের মৃত্য হয়েছে।
মঙ্গলবার ঝিনাইগাতী উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম পানিবন্দি বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ মানবিক সহায়তা হিসেবে মানুষের হাতে তুলে দেন।
জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার বলেন বন্যার্তদের মাঝে ইতিমধ্যেই ১০০ মেট্রিকটন বিশেষ বরাদ্দের চাল, ৫ লাখ টাকা ও শুকনো খাবার বিতরন করা হয়েছে।