মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরাে,শেরপুর জেলা প্রতিনিধি।
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বন্যার পানির তিব্র ঢলে ভাসছে পুরো পরিবার। মোঃ সদর আলী (৮০)উপজেলার ১ নং কাংশা ইউনিয়নের পশ্চিম পানবর গ্রামে তার বসতি বাড়ি। যদি ও তার আর্থিক অবস্থা খারাপ, তবুও সে তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখে দুঃখেই কাটছিলো তার জিবন। কিন্তু নদীর পাড়ে বাড়ি থাকায়, তার এ-ই সুখ টুকুও আর রইল না। ভারত থেকে নেমে আসা সোমেশ্বরী নদীর স্রোতে কেড়ে নিল তার বসতি বাড়ি।
যানা যায়, মোঃ সদর আলী বলেন, বন্যার পানির ঢলে তার সবকিছুই ভাসিয়ে নিয়ে যায়। এমন অবস্থায় সে তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে কি করবে? কোথায় যাবে? এ-ই নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। নিরুপায় হয়ে অনেকের কাছে একটু আশ্রয় চান থাকার জন্য, কিন্তু কেউ একটু আশ্রয়ের জন্য জায়গা দেইনি। বর্তমানে মোঃ সদর আলী তার, স্ত্রী সন্তান ও পুত্র বধু সহ একটি শিক্ষা প্রতিষ্টানে আশ্রয় নিয়েছেন।
সদর আলী আরও বলেন, এভাবে কতোদিন থাকতে দেওয়া হবে তাদের? হয়তো যে কোনো দিন সেখান থেকেও বিদায় দিয়ে দিবেন। কিন্তু কোথায় যাবে বা কোথায় আশ্রয় পাবে এই ভাসমান পরিবারটি?। তার তো একটা ঘর উঠানোর মতো একটু জমি নেই।
এমন অবস্থায়, সে আজও পর্যন্ত চেয়ারম্যান বা মেম্বার, সরকারী অনুদানকৃত (১০) চাল পায়নি। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। মোঃ সদর আলী, বাংলার ( মা ) প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটা থাকার মতো ঘর ভিক্ষা চান।