মনছুর আলম
আমি পছন্দ করিনা নিস্তব্ধতা
যদিও নিশুতি রাতের নিস্তব্ধতা আমাকে সঙ্গ দেয়
তবুও
আমি চাই রাখালের বাঁশির সুর, বাউলের একতারা
কৃষকের শস্য কাটা-মাড়াইয়ের ঝঙ্কার
মুখরিত মাঠ, ঘাট, ঢউ-ঢেঁকির কলতান
বাচিকের কণ্ঠ- জেগে ওঠার উদাত্ত আহ্বান।
আমি পছন্দ করিনা মেঘে ঢাকা আকাশ
কুয়াশাচ্ছন্ন বয়োবৃদ্ধ ভোর
শিক্ষার্থীর হাতে ফেসবুক-নেটের অবারিত দোর
আমি চাই সূর্যকরোজ্জ্বল দিগন্ত-দ্বিপ্রহর
শ্রমিকের ঘামে শিশিরের স্লোগান
আলসের আরাধনা, শিক্ষার্থীর সাধনা
জ্ঞান অন্বেষণে গুরুগৃহে দৌড়।
আমি পছন্দ করিনা বেরসিক বসন্ত
যুবক-যুবতীর নীরবতা নিঃসঙ্গতা
আমি চাই উড়ন্ত তারুণ্যের দুরন্ত সত্ত্ব
বাসন্তী রঙে কথা বলা, প্রেয়সীর ছলাকলা
তরুক্ষীরে প্রেম
যার কোমল শরীর ছুঁয়েছিল বসন্ত।
আমি পছন্দ করিনা কবিদের নীরবতা
যদিও নীরবতা কলমে স্বস্তি আনে
তবুও
আমি পছন্দ করিনা টুঁটিচাপা কবিতা
যেখানে নবিতাদের নাম নেই, কাম নেই
শ্রমিকের ঘাম নেই, বাম নেই
স্যাম নেই, দ্রোহ নেই
আমি চাই কবিতায় জাগরণী সুর
যা ধ্বনিত হবে অন্তহীন দিগন্ত যতদূর।