মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি।
শেরপুরের শ্রীবরদীতে,কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর পুটল এলাকায়(২৩শে জুন) বৃহস্পতিবার সন্দ্ব্যা ৭ টার দিকে অতর্কিত ভাবে সন্ত্রাসী হামলায় তিনজন নিহত হয়,এবং তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে।
বোরকা পড়ে অতর্কিত ভাবে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মা-মেয়েকেসহ তিন জনের মৃত্যু হয়।আরও তিনজন গুরুতর আহত হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।আজ সকালের দিকে আরও একজনের মৃত্যু হয়
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।নিহতরা হলেন,
মনু মিয়া(৬৪)নামে,তার কন্যা মনিরা বেগম (৪০)নামে,স্ত্রী শেখালী (৬০) নামে।মৃত নুরজামালের ছেলে মাহমুদ হাজি (৬৫) নামে।আরও কয়েকজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ ঘটনার সুত্রে স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানান।বৃহস্পতিবার সন্দ্ব্যা ৭ টার দিকে মনু মিয়ার বাড়িতে বোরকা পরে সন্ত্রাসী হামলা চালায়।এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মনু মিয়ার পরিবারে কোপাতে থাকে।তাদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ঘটনাস্থল থেকেই হামলা কারী পালিয়ে যায়।
পরে শেরপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হাসান নাহিদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন।ঘটনাস্থলেই মনিরা বেগমের মৃত্যু হয়।অন্যদের বগশীগন্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মনিরার মা ও শেফালী মাহমুদের মৃত্যু হয়।আহতরা গুরুতর আহত হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।তবে এ ঘটনায় হামলা কারীদের সনাক্ত করার জন্য ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে কাজ করছে বলে জানান।
শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান।মনু মিয়ার কন্যা মনিরাকে পাশের গ্রামের গেরামারার মিন্টু মিয়ার বিয়ে হয়।তাদের একটা ছেলে ও একটা কন্যা সন্তান রয়েছে।দাম্পত্য কলহের কারণে মনিরা বেগম কিছুদিন থেকে বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন।তবে পরিবারের দাবি হচ্ছে, মিন্টু মিয়ায় বোরকা পরে এ ঘটনা ঘটায়।মূলত স্ত্রী মনিরাকে হত্যার চেষ্টা করে।এবং অন্যরা বাদা দেওয়ায় তাদেরকেও কুপিয়ে হত্যা করে মিন্টু মিয়া।