আবু সাঈদ :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদের উপ-অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী, "কোন ব্যক্তিকে যন্ত্রণা দেওয়া যাইবে না কিংবা নিষ্ঠুর, অমানুষিক বা লাঞ্ছনাকর দন্ড দেওয়া যাইবে না কিংবা কাহারও সহিত অনুরুপ ব্যবহার করা যাইবে না।"
অথচ ফেসবুক মারফত জানলাম, একটি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষকে জুতার মালা গলায় দিয়ে ঘোরানো হচ্ছে তার পাশে পুলিশের উপস্থিতিও রয়েছে! ছবিও তোলা হয়েছে। এই ছবিটি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে। এটি সরাসরি অমানুষিক, লাঞ্ছনাকর ও অন্যায়। এটি সংবিধানের ৩৫(৫) অনুচ্ছেদের সরাসরি লঙ্ঘন। এগুলোর প্রতিকার হওয়া দরকার।
আমার মনে হয়, নাগরিকদের জানা উচিত একটি রাষ্ট্র তার কী কী অধিকার প্রদানে বা সংরক্ষণে বাধ্য। নাগরিক অধিকার অবশ্যই পালনীয় ও প্রাপ্য। দুঃখজনক হলেও সত্য আমরা অধিকার সম্পর্কে জ্ঞান রাখি না, অধিকার আদায়েও সচেতন নই। অন্যর অধিকারও খর্ব করে চলি।
আমাদের প্রতিটি মানুষকে সম্মান করা উচিত। সকল মানুষ জন্মগতভাবে স্বাধীন ও আল্লাহর সৃষ্টি।
আসুন আমরা, মানুষ মানুষকে সম্মান করি। বিচারের সময় সমব্যথী হই। ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেই। লাঞ্ছনাকর, নিষ্ঠুর ও অমানুষিক দন্ড প্রদান থেকে বিরত থাকি।