নিউজ ডেস্ক :
পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলি ও বোমা হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি জাকারিয়া পিন্টুকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেফতারকৃত জাকারিয়া পিন্টু ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শনিবার (২৫ জুন) রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন র্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ২৮ বছর আগে ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে ঈশ্বরদীর পাকশী এবং ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে বোমা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২০১৯ সালে নয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। গ্রেফতারকৃত জাকারিয়া পিন্টু ওই মামলার একজন পলাতক আসামি ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কক্সবাজারের টেকনাফে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে র্যাবের গোয়েন্দা দল।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি একেএম আক্তারুজ্জামান (৬০), ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু (৫০), ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মোখলেছুর রহমান বাবলু (৫৭), পৌর যুবদলের সভাপতি মোস্তফা নুরে আলম শ্যামল (৪০), স্থানীয় বিএনপি নেতা রেজাউল করিম শাহীন (৪৫), শহিদুল ইসলাম অটল (৪৫), আজিজুর রহমান ওরফে প্রব্লেম শাহিন (৪৬), মাহবুবুর রহমান ওরফে পলাশ (৪০), শামসুল আলম (৫৫)। এদের মধ্যে জাকারিয়া পিন্টু পলাতক ছিলেন।
যাবতজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আমিনুল ইসলাম ওরফে আমিন (পলাতক), আজাদ হোসেন ওরফে খোকন, ইসমাইল হোসেন জুয়েল, আলাউদ্দিন বিশ্বাস, শামসুর রহমান শিমু, আনিসুর রহমান ওরফে সেকম (পলাতক), আক্কেল আলী, মো. রবি (পলাতক), মো. এনাম, আবুল কাশেম ওরফে হালট কাশেম (পলাতক), কালাবাবু (পলাতক), মামুন (পলাতক), মামুন (পলাতক), সেলিম, কল্লোল, তুহিন, শাহ আলম লিটন, আবদুল্লাহ আল মামুন রিপন, লাইজু (পলাতক), আবদুল জব্বার, পলাশ, হাকিমুদ্দিন ওরফে টেনু, আলমগীর, আবুল কালাম (পলাতক) ও একেএম ফিরোজুল ইসলাম পায়েল।
১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নেফাউর রহমান ওরফে রাজু, ঈশ্বরদী পৌর কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন জনি, আজমল হোসেন ডাবলু, রনো (পলাতক), বরকত, চাঁদ আলী (পলাতক), এনামুল কবির, মুক্তা, হাফিজুর রহমান ওরফে মুকুল, হুমায়ন কবির ওরফে দুলাল, জামরুল (পলাতক), তুহিন বিন সিদ্দিক ও ফজলুর রহমান।