মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি।
শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলায় বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় পরিষদ ও শেরপুর জেলা শাখার আয়োজনে গতকাল সোমবার উপজেলার ২৭০ জন বন্যার্তের মাঝে প্রতি জনকে ৫ কেজি করে চাল, হাফ লিটার সোয়াবিন তেল, হাফ কেজি মশুর ডাল ও ২ কেজি করে আলু বিতরণ করা হয়।
কিন্তু ওই ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে পঁচা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল দেয়া হয়েছে বলে তাৎক্ষনিক ত্রাণ প্রপ্তরা ঘটনাস্থলেওই প্রতিবাদ করে স্থানীয় আয়োজকসহ বিভিন্ন সংবাদ কর্মীকে প্যাকেট খুলে দেখান। এসময় বন্যা দুর্গত এলাকার ঝিনাইগাতি ইউনিয়ন ও নলকুড়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন ত্রাণ প্রাপ্ত ভুক্তভোগি বয়স্ক মহিলা ও পুরুষ এবং শিশুরা জানায়, ‘এই পঁচা চাল দিয়ে আমগো গরিবদের সাথে তামশা করলো। এই চাইল খাওন যাবো না, এইটা দেয়ার কি দরকার আছিলো।’
তারা এসময় পঁচা চাল নিয়ে আয়োজকদের সাথে দেখা করলে তারা বিষয়টি আমলে নেয় নি। তবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয় এটা খাওয়া যাবে পঁচা নয়। কিন্তু ত্রাণ প্রাপ্তদের অভিযোগ আয়োজকরা কর্ণপাত না করলে এক পর্যায় তারা ওই পঁচা চাল নিয়েই চলে যেতো বাধ্য হয়।
এদিকে ঝিনাইগাতি উপজেলা সাব-রেজিস্টার হযরত আলী জানায়, নকল নবিশ জাকারিয়াকে চাল কেনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। এবিষয়ে জাকারিয়া জানায়, আমাদের বাজেট অনুযায়ী ৪২ টাকা দরের চাল কেনা হয়েছে। তবে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, ইচ্ছে করেই তারা চাল কিনেছে ৩৬ টাকা কেজি দরের তুলনা মূলক নিম্নমানের চাল। আর বিল বাউচারে দেখানো হয়েছে ৪২ টাকা কেজি দরে।
পঁচা চাল দিয়ে ত্রাণ বিতরণের বিষয়ে জেলা রেজিস্টার্ড মো. হেলাল উদ্দিন চালগুলো নিম্ন মানের স্বিকার করে জানায়, চাল কেনার দয়িত্ব দেয়া হয়েছিলো উপজেলা রেজিস্ট্রারকে। আমরা ভালো চাল কেনার জন্যই টাকা দিয়েছিলাম। আমাকে দেখানো হয়েছে সাদা চাল, তবে এই পঁচা চাল যদি আমি দেখতাম তবে ত্রাণ দিতে দিতাম না।