পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুর সদর হাসপাতাল জামে মসজিদ সংলগ্ন হুজুরের কক্ষে মসজিদের ইমাম কর্তৃক ১৪-বছরের এক কিশোরীকে শ্রীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত-৬ মে শুক্রবার বারোটার দিকে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা তার মেয়ের চিকিৎসার জন্য মসজিদের ইমামের কাছে যায়। এ সময় নামাজের সময় হলে মেয়েটির বাবা মেয়েকে হুজুরের খানকায়ে বসিয়ে রাখে নামাজ আদায় করতে মসজিদে যান।
এই সুযোগে মসজিদের ইমাম আবদুল জলিল মল্লিক অপেক্ষারত মেয়েটির কাছে গিয়ে তার দেহের আপত্তিকর স্থানে স্পর্শ করে এবং শ্রীলতাহানি চেষ্টা করেন।
পরবর্তীতে উক্ত ঘটনা ভুক্তভোগী ও তার বাবা খলিশাখালি মাদ্রাসার শিক্ষকের কাছে জানায় । মেয়েটি ওই মাদ্রাসার ছাত্রী হওয়ায় মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা ঐ শিক্ষকের বিচার দাবি করে ক্লাস বর্জন করেন। আন্দোলনে মুখে ঐ মাদ্রাসার বড় হুজুর , অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে মহিলা মাদ্রাসা থেকে অপসারণ করেন।
পরে এই ঘটনা সহ অভিযুক্তর আরো কিছু অভিযোগ পিরোজপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার নিজাম উদ্দিন এর কাছে যানানো হয়।
কিন্তু আজ অবধি কোনো বিচার সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি এবং আর ঐ হুজুরে দায়িত্বে বহাল তবিয়তে রয়েছে।
এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি সহ এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মুঠোফোনে অভিযুক্ত হুজুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
উল্লেখ্য বহুল আলোচিত এহেসান মাল্টিপারপাস এর সাথে ও এই হুজুর জড়িত ছিলেন এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদের সাথে প্রতারণা করেছেন।
এ ব্যাপারে জেলার সিভিল সার্জন অফিসার এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমিও শুনেছি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পিরোজপুর প্রতিনিধি।
ছবি- প্রতিকি
Leave a Reply