নিউজ ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আলোচনার কথা থাকলেও অধিকাংশ আলোচনাই হয়েছে পদ্মা সেতু ঘিরে, সমালোচনা হয়েছে বিএনপিকে নিয়ে।
বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে এমন অভিযোগ এনে বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, ‘চলতি বাজেট অধিবেশনে বাজেট নিয়ে আলোচনা না হয়ে পদ্মা সেতু, খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে। এই অধিবেশনটিকে বাজেট অধিবেশন না বলে পদ্মা অধিবেশন বা বিএনপি অধিবেশন বলতে পারি।’
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এই বাজেট অধিবেশনে যদি ১০ শতাংশ বাজেট নিয়ে ব্যয় করা হয়। আর ৯০ শতাংশ সময় ব্যয় করা হয়েছে পদ্মা সেতু নিয়ে আলোচনায়, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আলোচনায় এবং বিএনপির সমালোচনায়।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি লেখক ড. মালিকা-ই-আবিদা খাত্তাককে ধন্যবাদ দিতে চাই। তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একখানা কলাম লিখেছিলেন বলে আওয়ামী লীগের সমস্ত মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে নেতারা পদ্মা সেতু নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের আঙ্গিকে গর্ব করতে পারছে ‘
দেশের অর্থনীতিতে সামষ্টিক সমস্যা হচ্ছে মূল্যস্ফীতি- উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমদানি-রপ্তানিতে ভারসাম্যহীনতা, ডলার বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন, রিজার্ভ আশঙ্কাজনকভাবে কমতে থাকা। এ বিষয়গুলোতে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা আমরা পাইনি এই সংসদ অধিবেশনে।
করোনায় দারিদ্রসীমার নিচে কত শতাংশ মানুষ গিয়েছে সেই হিসাব সরকারের কাছে নেই বলে মন্তব্য করেন রুমিন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার ক্ষেত্রে জিডিপি অনুপাতে বরাদ্দ কমেছে।
বাজেটে ‘অদ্ভুত বিষয় যোগ হয়েছে’ উল্লেখ করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘সব সময় কালো টাকা সাদা করতে গিয়ে নানা সমালোচনায় অর্থ মন্ত্রীদের পড়তে হয়। এবারের অর্থ মন্ত্রী সেই পথে হাঁটেননি। তিনি টাকা পাচারকেই বৈধতা দিয়েছেন; যাতে লুটপাটের টাকা বিদেশে পাচার করে ৭ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ হারে কর দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা যায়।’
কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাবনার বিরোধিতা করে বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘তিনি (অর্থমন্ত্রী) বলতে চাচ্ছেন এইভাবে পাচার করা বিদেশ থেকে দেশে ফিরবে।পাচারকারীরাতো দেশে ফেরত আনার জন্য দেশে আনার জন্য পাচার করে না। এই সুযোগের মাধ্যমে পাচারকারীরা নিশ্চিন্ত হবেন। পাচারকে উৎসাহিত করবে।’