এস আর সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের মোহনপুর ভীম পাড়ায় সাওতাল বিদ্রোহের ১৬৭ তম সিধু- কানু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (৩০জুন) (বৃহস্পতিবার) দুপুর ২ টায় কামিল মার্ডির সভাপতিত্বে ও সুনিল কুমার এর সঞ্চালনায়
পাচন্দর ইউনিয়নের মোহনপুর ভীম পাড়ায় সাওতাল বিদ্রোহ ১৬৭ তম সিধু-কানু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন; স্থানিয় সাংসদ প্রতিনিধি ও তানোর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,পাঁচন্দর ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পাঁচান্দর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, আব্দুল মতিন।
উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওহাব হোসেন লালু, দপ্তর সম্পাদক জিল্লুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম ও রাম কমল সাহা, তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রদিপ সরকার, মুন্ডুমালা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন আমিন, কামারগাঁ ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী ফরহাদ, চাঁন্দুড়িয়া ইউপি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান, কলমা ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি মাইনুল ইসলাম স্বপন, বাধাঁইড় ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব সাইদুর রহমান সরকার ওরফে আবু সাঈদ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম, তানোর পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াজির হাসান প্রতাপ সরকার, সৌনিক লীগ সভাপতি বদিউজ্জামান নয়ন, তানোর পৌর আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ হালদার, কলমা ইউপি ছাত্র লীগ নেতা মোর্শেদুল মোমেনিন রিয়াদ প্রমুখ।
এসময় প্রধান অতিথি ময়না চেয়ারম্যান বলেন; সাঁওতাল বিদ্রোহ বা সাঁতাল হুল হলো ১৯ শতকে ব্রিটিশ ভারতে সংঘটিত একটি ঔপনিবেশিক ও জমিদারি শাসন-বিরোধী আন্দোলন, যাকে সাঁওতাল জনগোষ্ঠী নেতৃত্ব দিয়েছিলো।
এর সূচনা হয় ১৮৫৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায়। ইংরেজ আমলে স্থানীয় জমিদার, মহাজন ও ইংরেজদের রাজস্ব ও কৃষি নীতির বিরুদ্ধে সাঁওতালরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলে। এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় চার মুরমু ভাই- সিধু, কানু, চাঁদ ও ভৈরব। ১৭৯৩ সালে বড়লাট (গভর্নর-জেনারেল) লর্ড কর্নওয়ালিশের প্রবর্তিত চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে তাঁদের প্রাচীন স্থানান্তর চাষ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। তাই ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের আগে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সাঁওতালরা বিদ্রোহ গড়ে তোলে।
উক্ত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ক্ষুদ্র'নৃ-গোষ্ঠীর ছাত্র- ছাত্রীরা নৃত্য পরিবেশন করেন।