ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন গ্রামের খামারি ও গৃহস্থরা দেশি গরু পালন করেছেন। আর এসব গরুই এবারের কোরবানির ঈদে ক্রেতাদের প্রধান টার্গেট।দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ঠাকুরগাঁওয়ে ৫টি উপজেলার কোরবানির পশুর হাটগুলো ততই জমে উঠছে। আমদানি করা পশু না থাকায় হাটগুলোতে প্রাধান্য পাচ্ছে স্থানীয়ভাবে পালিত গরু।পবিত্র ঈদ-উল-আযহার ৭ দিন বাকি থাকলেও এখনই জমে উঠেছে কোরবানির গরুর হাট। এলাকার সর্ববৃহৎ হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ ও বড়খোচা বাড়ী, ফেবসাডাঙ্গী,দানারহাট,চৌধরীহাট পশুর হাট, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহেরি,নেকমরদ আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ীহাট।
এসব হাটের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলেন, হাটগুলোতে আগাম কোরবানির পশু আসা শুরু করেছে। তবে পশু বেচাকেনা একটু কম। বাবুল হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, এবার গরুর দাম একটু বেশি চাওয়া হচ্ছে। তাদের মতে, পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আরো কয়েকদিন বাকি আছে, হয়তো পশুর দাম ধীরে ধীরে কমে আসবে তবে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই বলছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে হাটে পশুর আমদানি বেড়ে যাবে। আর তখন ক্রেতারা পশু কেনা শুরু করবেন
পশুর হাটের ইজারাদাররা বলেন, এবার কোরবানিতে দেশি গরুর কদর বেশি থাকবে। এজন্য বিভিন্ন এলাকার খামারি ও গৃহস্থদের বাড়ির গরুই তাদের হাটে প্রাধান্য পাবে সরেজমিনে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহেরি, মাদারগঞ্জ ও বড়খোচা বাড়ী পশুর হাটে দেখা গেছে, দাম কিছুটা বেশি হলেও ক্রেতাদের ভিড়ে জমে উঠেছে পশুর হাট। দেশি গরু, ছাগলের প্রাধান্য বেশি হাটগুলোতে।
খামারিরা বলছেন, এবার গরুর দাম বেশি হওয়ার কারণে অন্যবারের তুলনায় লাভবান হওয়া যাবে। তবে দাম কিছুটা বেশি হলেও দেশি গরু কিনতে পেরে ক্রেতারাও খুশি। এছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার তদারকি থাকায় এবার পুষ্টিমান সম্পন্ন পশু পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ।