এস আর সোহেল রানা,রাজশাহী,প্রতিনিধিঃ
বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পিতভাবে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনেই পুড়েছে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার মৌপাড়া দাখিল মাদ্রাসার অফিস। মঙ্গলবার স্থানীয় কয়েকটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। যদিও শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ঘটনাস্থল পরির্দশন শেষে দাবি করেছেন মোহনপুর থানা পুলিশ।
ঘটনা সুত্রে জানায়, গত শনিবার গভীর রাতে মৌপাড়া দাখিল মাদ্রাসার অফিসকক্ষে আগুন দেয় কয়েকজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। এলাকার পান বরজে নিয়মিত মাদকের আসর বসাত তারা। তবে অগ্নিকাণ্ডের দিন তারা মাদ্রাসার আশপাশেই ছিল। রাতে নৈশপ্রহরী ডিউটি করলেও কিছুক্ষণের জন্য মাদ্রাসা চত্বরে ছিলেন না তিনি। সেই সুযোগে অফিসের জানালার কাঁচ ভেঙে আগুন দেয় মাদকসেবীরা।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিদিন অফিস শেষে বৈদ্যুতিক মিটার চেক করে মেইন সুইচ বন্ধ করা হয়। বৃহস্পতিবারও মেইন সুইচ বন্ধ করে অফিস ত্যাগ করেন পিয়ন। সে ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগার সম্ভাবনা নেই। তা ছাড়া অগ্নিকাণ্ডের পর মাদ্রাসায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক ছিল। স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বৈদ্যুতিক কোনো ত্রুটি পাননি। কিন্তু ভাঙা ছিল অফিসের জানালার কাঁচ।
স্থানীয়রা জানান, ১৯৮৭ সালে স্থাপিত এ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর থেকেই লেখাপড়ায় বেশ এগিয়ে। গত ১০ বছরে মাদ্রাসাটির জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা অর্জন করে সন্তোষজনক ফল। সে জন্য কুচক্রী মহল শত্রুতা করে মাদ্রাসাটির অফিসকক্ষে এভাবে আগুন লাগাতে পারে বলে কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা। আগুনে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কাগজপত্র পুড়ে যাওয়ায় তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা।
এ বিষয়ে মৌপাড়া দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. দেরাজ উদ্দিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডে অফিসে থাকা গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, তিনটি কম্পিউটারসহ বিভিন্ন আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকার। মূল্যবান কাগজপত্র পুড়ে যাওয়ায় বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছি। ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে মোহনপুর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ থানায় কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে