নিউজ ডেস্ক :
২০০৬ সালে একই সঙ্গে অভিষেক হয়েছিল সাকিব-মুশফিকের। এরপর থেকেই প্রতিটি ওয়ানডেতেই সাকিব-মুশফিকের মধ্যে অন্তত একজন দলে ছিলেনই। এবারই প্রায় ১৬ বছর পর দুজনের একজনও নেই বাংলাদেশের স্কোয়াডে।
এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এখন পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখেনি বাংলাদেশ। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভরাডুবির পর টাইগারদের সামনে এবার ওয়ানডে মিশন। আজ থেকে শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। ওয়ানডে, টাইগারদের পছন্দের ফরম্যাট। তাই আজ হারের বৃত্ত থেকে বের হবার পাশাপাশি ঈদুল-উল-আজহাতে দেশবাসীকে জয় উপহার দেয়াই লক্ষ্য হবে তামিম-মাহমুদউল্লাহদের। গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হওয়া ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার হবে টি-স্পোর্টসে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এই সিরিজে অবশ্য ফেবারিট বাংলাদেশই। সবচেয়ে ভালো যে এই ফরম্যাটেই খেলে টাইগাররা। তবে ওয়ানডে সিরিজটা তাদের খেলতে হচ্ছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব ও মুশফিককে ছাড়াই।
উইন্ডিজ সফরের আগেই পবিত্র হজ পালনের জন্য ছুটি নেন মুশফিক। অন্যদিকে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেললেও ওয়ানডে সিরিজ খেলছেন না সাকিব। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন তিনি। এক সঙ্গে এই দুই তারকার অনুপস্থিতি বাংলাদেশের জন্য বড় ধাক্কা। শুধু বড় ধাক্কাই নয়, বিরল ঘটনাও বটে। একই দিন দুজনের ওয়ানডে অভিষেকের পর দুজনের একজন হলেও খেলেছেন সব ওয়ানডে সিরিজে। সাকিব ও মুশফিকবিহীন সিরিজ এটাই প্রথম।
এরমধ্যে শুধু ২০২০ সালে ৬ মার্চ সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে দলে ছিলেন না মুশফিক বা সাকিবের কেউই। সাকিব তখন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবের তথ্য গোপনের নিষেধাজ্ঞায়। আর সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়ায় মুশফিককে বিশ্রাম দিয়েছিল দল। সে ম্যাচটি আবার ছিল টাইগারদের হয়ে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার শেষ ম্যাচ।