পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরে জেলা তাঁতী লীগের অফিস ভাংচুরের পর থেকে বন্ধ রয়েছে জেলা তাঁতী লীগের কর্মকান্ড। পিরোজপুর সদর থানার এসআই সানীর নির্দেশে তাঁতী লীগের অফিস বন্ধ রয়েছে বলে জানান পিরোজপুর সদর উপজেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম সবুজ।
জেলা তাঁতী লীগের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান জানান, বিগত ২৫/০৬/২০২২ ইং তারিখ আমরা পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়ামে পদ্মা সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ও মাওয়া এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় ব্যাস্ত থাকার সুযোগে জেলা ছাত্রলীগ এর সাবেক সাধারন সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক এর নেতৃত্বে কতিপয় সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক আমাদের অফিসে প্রবেশ করে বঙ্গবন্ধু ও প্রধান মন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করে। এ সময় তারা অফিসে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে আমাদের সদর উপজেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম সবুজ ৯৯৯ এ কল করে সহযোগীতা চাইলে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশ তাদের নিবৃত করে। পরে এ ঘটনায় সদর উপজেলা তাঁতী লীগ এর আহবায়ক শহিদুল ইসলাম সবুজ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করতে চাইলে অফিসার ইনচার্জ সাধারন ডায়েরী করতে অপরাগতা প্রকাশ করে। এর পরে ২৭/০৬/২০২২ ইং তারিখ উপজেলা তাঁতী লীগ এর আহবায়ক শহিদুল ইসলাম সবুজ ভাঙ্গা অফিস পুনরায় সংস্কার করতে থাকিলে রাতে অনিক পুনরায় সেখানে এসে আকস্মিক হামলা চালায়। এতে পৌর তাঁতী লীগ এর সেক্রেটারী সফিকুল ইসলাম মামুন সহ আরো কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এ সময় যারা অফিস ভাংচুর করেছে তাদের বিরূদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো সদর উপজেলা তাঁতী লীগের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম সবুজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এটা দুঃখজনক। তিনি বলেন, অফিসার ইনচার্জ ও এস.আই. সানীর অফিস বন্ধ করার জন্য চাপ দিতে দিলে বাধ্য হয়ে আমরা অফিস বন্ধ রেখেছি। এতে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাঘাত হইতেছে। পিরোজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব একেএমএ আউয়াল বলেন, একটা সংগঠনের অফিস ভাংচুর করবে এটা কোনভাবেই কাম্য নয়। পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি সাইদুল্লাহ লিটন বলেন, যারা তাঁতী লীগের অফিস ভাঙচুর করেছে তারা আওয়ামীলীগের কেউ হতে পারে না। সদর থানার এসআই সানী বলেন, পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে তাঁতী লীগের অফিস বন্ধ রাখতে বলেছি। এ ব্যাপারে অনিকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পিরোজপুর সংবাদদাতা
Leave a Reply