নিউজ ডেস্ক :
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার দুই গ্রামের অধিবাসীদের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সোমবার (১১ জুলাই) রাতে সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ সার্কেল) শুভাশীষ ধর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন বিকেলে সুনামগঞ্জ-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের আলীপুরে কোরবানির পশুর মাংস ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জগন্নাথপুর উপজেলার গোতগাঁও গ্রামের যুক্তরাজ্যপ্রবাসী শাহিন মিয়া যুক্তরাজ্যের একটি সংস্থার মাধ্যমে গোতগাঁও গ্রামের হজরত মা ফাতেমা (রা.) মাদরাসায় ৩৫টি গরু দান করেন। পরে গরুগুলো ঈদের দ্বিতীয় দিনে জবাই করা হয়। তবে মাংস ভাগাভাগি নিয়ে জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও গ্রামের শামীম মিয়া ও মজুমদার মিয়ার সঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলার উমরপুর গ্রামের আহসান মিয়া ও আলতাব উদ্দিনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই গ্রামের মানুষ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এ সময় খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা-পুলিশ ও নবীগঞ্জের ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ি-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে নবীগঞ্জ উপজেলার আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও জগন্নাথপুর উপজেলার আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ সার্কেল) শুভাশীষ ধর বলেন, সোমবার বিকেলে কোরবানির মাংস ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে দুই উপজেলার প্রতিবেশী দুই গ্রামের অধিবাসীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
Leave a Reply