নিউজ ডেস্ক :
বরিশালে বর পছন্দ না হওয়ায় অভিভাবক ও স্বজনদের সঙ্গে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে এক তরুণীর আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৩ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়নের বেঁজগাতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত তরুণীর নাম লিজা আক্তার (১৮)। উপজেলার বার্থী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। বেঁজগাতি গ্রামের ফলবিক্রেতা আব্দুল হক সরদারের মেয়ে লিজা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিয়ের পিঁড়িতে বসার দিন ধার্য ছিল লিজার। দুপুরে বরযাত্রী এসে তাকে শ্বশুরবাড়িতে তুলে নেয়ার কথা ছিল। তার মৃত্যুর খবরে বিয়ের অনুষ্ঠানটিও পণ্ড হয়ে গেছে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে বুধবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
লিজার বাবা আব্দুল হক সরদার বলেন, পাঁচ মাস আগে বিয়ে ঠিক হলেও বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) লিজার বিয়ের মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। যাকে কেন্দ্র করে দাওয়াত দেয়া শেষে অনুষ্ঠানের বাজারও সম্পন্ন করা হয়েছে। বিয়ের বাজার ও অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে পরিবারের সবাই ব্যস্ত ছিল। ঘরে আড়ার সঙ্গে লিজাকে ঝুলতে দেখেন স্বজনরা। পরে উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লিজার বাবা আরও বলেন, বিয়েতে রাজি হওয়ার পরই পাকা কথা হয় ছেলেপক্ষের সঙ্গে। এমনকি লিজা যেভাবে বলেছে, সেভাবেই বিয়ের বাজার করা হয়েছে।
তরুণীর চাচা আব্দুল হাই সরদার জানান, বুধবার বিকেলে তার ভাতিজি লিজা তাদের একটি পরিত্যক্ত বসতঘরে ঘুমাতে যায়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ওই ঘরের আড়ার সঙ্গে তাকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখে স্বজনরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসেন।
গৌরনদী মডেল থানার এসআই মো. শাহজাহান বলেন, লাশের গলায় ফাঁস লাগানোর মতো কালো দাগ দেখতে পেয়েছি। তরুণীর অভিভাবকরা আমাকে জানিয়েছেন ‘পাত্র পছন্দ না হওয়ায় অভিভাবক ও স্বজনদের সঙ্গে অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে লিজা আত্মহত্যা করতে পারে’। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।