মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি।
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দুদুয়ার খালের উপর সেতু ভেঙ্গে ড্রাম ট্রাক খালে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৭ জুলাই) রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চালকসহ দুইজন আহত হয়েছেন। সেতু ভেঙ্গে ট্রাক খাদে আটকে পরায় এপথে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই ইউনিয়নের ৮ গ্রামের মানুষ।
জানা গেছে, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে প্রায় দেড়যুগ আগে উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের রুপাকুড়া গ্রামে দুদুয়ার খালের উপর মিনি একটি সেতু নির্মিত হয়৷ কয়েক বছর আগে ভোগাই নদীর পাহাড়ি ঢলে নদীর তীর ভেঙ্গে দুদুয়ার খালের সাথে মিশে যায়। ওই সময় সেতুর বেশিরভাগ অংশ ধ্বসে পড়ে। প্রায় ৮ বছর আগে এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে ধ্বসে যাওয়া সেতুটি ষ্টীলের স্লাব ও রেলিং সংযোজনের মাধ্যমে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করা হয়। কিন্তু রবিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে পাশের চাটকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মানাধীন ভবনের জন্য ড্রাম ট্রাক বোঝাই করে বালু পরিবহন করা হচ্ছিল। ঝুঁকিপুর্ণ নড়বড়ে সেতুর উপড়ে উঠতেই ভেঙ্গে গিয়ে প্রায় ২০ ফুট নিচে পড়ে যায় ওই ড্রাম ট্রাকটি। এসময় চালকসহ দুইজন গুরুতর আহত হন।
এদিকে, সেতুটি ধ্বসে পড়ায় পাশ্ববর্তী পোড়াগাঁও ও নয়াবিল ইউনিয়নের প্রায় ৮ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। এলাকাবাসী রুপাকুড়া গ্রামের কৃষক আশারুচন্দ্র বর্মণ, আমিরুল ইসলাম ও সামিদুল মুন্সি বলেন, এই মিনি সেতু দিয়ে সাইকেল, মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা ও ভ্যানগাড়ীসহ প্রায় প্রতিদিন দুই শতাধিক ছোট গাড়ী চলাচল করে। এমনকি কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধানসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য এ সেতুর উপর দিয়ে পাশের নয়াবিল ও নালিতাবাড়ী উপজেলা শহরে যাতায়াত করে থাকে । বর্তমানে সেতুটির বেশিরভাগ অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় এলকার সাধারণ মানুষ ও কৃষকরা মালামাল পরিবহনে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। এটি দ্রুত নির্মাণ না করা হলে প্রায় ৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে কৃষকের পণ্য পরিবহন করতে হবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রথীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ বলেন, রুপাকুড়া গ্রামের এই মিনি সেতুটি বারোমারী, নয়াবিল ও নালিতাবাড়ী উপজেলা শহরের সেতুবন্ধন ছিল। বালুভর্তি ট্রাক পার হতে গিয়ে ভেঙ্গে পড়ায় আমরা প্রায় ২০ হাজার এলাকাবাসী যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে পড়েছি। তাই আমরা রুপাকুড়া গ্রামের সেতুটি মেরামত নয় নতুন করে নির্মাণের জোড় দাবী জানাচ্ছি।