ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থানাধীন ঝাড়গাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষকে টর্চার সেল ও মিনি কারাগার বানিয়ে রাতভর এক তরুণকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এতে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশের সামনে সাংবাদিক লাঞ্চিত হয়েছে।
জানাগেছে, ঝাড়গাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে পাশ্ববর্তী মধ্য ঝাড়গাঁও গ্রামের নাইম নামের এক তরুণকে সোমবার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে রাতভর নির্যাতন চালায় গুন্জুরাহাটের মুন্না বাহিনীর প্রধান মুন্না ও তাঁর পিতা দেলোয়ারসহ তিনচারজন দুর্বৃত্ত।
পরের দিন সকালে খবর পেয়ে নাইমের পিতা ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশের সহায়তা চান।
খবর পেয়ে রুহিয়া থানার পুলিশ ও সাংবাদিকগণ ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে। এতে উক্ত মিনি কারাগারে আটক নাইমের সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময় পুলিশের সামনেই দূবৃত্তরা নয়া দিগন্তের রুহিয়া প্রতিনিধি আপেল মাহমুদের মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মুন্না বাহিনী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য বিপ্লব।
বিষয়টি নিয়ে আখানগর ইউপি চেয়ারম্যান রোমান বাদশাহ বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। যুবক ইউপি সদস্য এটা ভুল করেছে।
দৈনিক নয়া দিগন্তের রুহিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক আপেল মাহমুদ জানান, ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দূবৃত্তরা পুলিশের সামনেই তাঁর মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়। এসময় উপস্থিত পুলিশ অপরাধীদের পক্ষ নিয়ে আমাকে ধমক দেয়।
এ বিষয়ে রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানা, ঘটনাটি শুনেছি এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সর্বশেষ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ঘটনাটি নিয়ে ভুক্তভোগীর পিতা ও সাংবাদিক আপেল মাহমুদ রুহিয়া থানায় পৃথক দুটি অভিযোগ করেছেন।