শাকিল আহমেদ,নড়াইলঃ
নড়াইল পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের জনৈক আমজাদ হোসেন মৃধার বাড়িতে গত ১৬/০৭/২০২২ ইং তারিখ শনিবার দুপুর ১.৩০ মিনিটের দিকে অগ্নিকান্ডের ঘটনাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়াগেছে।অগ্নিকান্ডের ঘটনাকে পূজি করে ১১ নং বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আমজাদ হোসেনের প্রতিবেশি রফিকুল ইসলাম ফকির কে দোষী সাব্যস্ত করে নড়াইল সদর থানায় অভিযোগ করেছেন আমজাদ হোসেন।
এ বিষয়ে বাঁশগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ফকির এ প্রতিবেদককে জানান, অগ্নিকান্ডের ঘটনার সময় আমি আমার বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় বসে ছিলাম। পাশেই মহিলা হোস্টেল থেকে একটা মেয়ে হঠাৎ এসে আমাকে পাশের বিল্ডিংয়ে আগুন লাগার সংবাদ দেয়। আমি সংবাদ শোনার সাথে সাথে দ্রুত আমার বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠি, এবং আমজাদ হোসেনের বিল্ডিংয়ের দোতলার শিরির মধ্য থেকে আগুন দেখতে পাই, আমার ছাদ থেকে তার বিল্ডিংয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ না থাকায় আমি দ্রুত নড়াইল ফায়ার সার্ভিস অফিসে ফোন করি।এবং ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও ঘটনাস্থলে দ্রুত চলে আসে,ফায়ার সার্ভিস কর্মিরা আমার বাসার ভিতর দিয়ে পাইপ নিয়ে আমার ছাদ দিয়ে আমার মই ব্যবহার করে তাদের বিল্ডিংয়ে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।আমি ও আমার পরিবার ফায়ার সার্ভিসের কর্মিদের সার্বক্ষণিক সহযোগীতা করেছি।আমি প্রতিবেশির দায়ীত্ব পালন করেছি আর এখন আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে তারা। আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আমার বিরুদ্ধে নানান ধরনের নেতিবাচক লেখালেখি করতেছে আমজাদ হোসেন গংরা।
আমি একজন জনপ্রতিনিধি, আমার জনপ্রিয়তায় অনেকেই ঈর্ষান্বিত। আমি কেমন মানুষ এটা আপনারা ও প্রশাসন কে তদন্ত করে দেখার অনুরোধ রইলো,যদি আমি দোষি হই তাহলে প্রশাসন তদন্ত করে অবশ্যই আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে, আর যদি আমি নির্দোষ হই তাহলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।