আকাশ আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দায় এক কৃষকের হাত ভেঙ্গে দেওয়ার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন আহত কৃষক বিদ্যুত হোসেন। এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সোমবার (১৮ জুলাই) নওগাঁ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী। আসামিরা হলেন, ৯ নং তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুল (৪৮), পানিয়াল গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে সাজেদুর রহমান সাজু (৩২), কামারপাড়া গ্রামের রফিকুলের ছেলে কাবিরুল ইসলাম (৩৭), কা নপুর গ্রামের ইয়াদ আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৭) এবং চকসাবাই গ্রামের মৃত বদের আলীর ছেলে বাবুল হোসেন (৪৫)।
ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার (১০জুলাই) ঈদের দিন সন্ধ্যায় মান্দা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে।
ভুক্তভোগী ও আহত কৃষক উপজেলা তেঁতুলিয়া ইউপির পানিয়াল গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে। অপরদিকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুল ৯ নং তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জমি ও রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে ঈদের দিন সন্ধ্যেবেলায় চেয়ারম্যান তার বাহিনী দ্বারা বিদ্যুত হোসেনকে পরিষদে ডেকে এনে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারপিট করেন। এ সময় মারপিটে বিদ্যুত হোসেনের ডান হাত ভেঙ্গে যায়।
এ ব্যাপারে আহত বিদ্যুত হোসেন জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যাবেলা সবাই হাটে মাহাবুরের স্টল থেকে তার ভাতিজা সাজুসহ আরো ৪/৫ জন চেয়ারম্যানের বাহিনী আমাকে ধরে পরিষদে নিয়ে যান। এরপর চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম লোহার রড দিয়ে আমাকে মারপিট শুরু করে। সেই সাথে তার সঙ্গপঙ্গ আমাকে এলোপাথাড়ি মারপিট শুরু করে। এই সময় চেয়ারম্যানের রডের পিটুনিতে আমার ডান হাত ভেঙ্গে যায়। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমার পরিবারের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসা শেষে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে নওগাঁ আমলী আদালতে মামলা দায়ের করি। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী বিদ্যুত হোসেন চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান কামরুলে সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এজন্য তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় কোন অভিযোগ পাইনি তবে শুনেছি। অভিযোগ পেলে তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করতাম। যেহেতু আদালতে মামলা করেছে, সেহেতু করার কিছু নেই।