ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার শিক্ষানবিশ আইনজীবি সামিউল্লাহ কাইসার সামু’র বাড়িতে ২৫ বছর বয়সী এক নার্স ১০ দিন ধরে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করে আসলেও এখনো ছেলের সাথে ওই মেয়ের বিয়ে না দেওয়ায় বা এ বিষয়ে কোন সমস্যা সমাধান না হওয়ায় মেয়ের পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মেয়ের বড় ভাই।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে বালিয়াডাঙ্গী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই মেয়ের বড় ভাই।
এসময় মেয়ের বড় ভাই তার লিখিত বক্তব্য বলেন, ' সামিউল্লাহ সামু যখন ২০১৮ সালে ঢাকায় আইন বিষয়ে পড়াশোনা করতো তখন আমার বোনের সাথে ফেসবুকে তার পরিচয় হয় । এসময় ফোন ও মেসেজের মাধ্যমে তাদের দুই জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তাদের দুজনে সরাসরি দেখাও হয়। এভাবে তাদের সম্পর্ক গভীর হতে থাকে ও সামু আমার বোনকে নিয়ে তার আত্মীয়ের বাসায় অনেক সময় কাটান এবং বিভিন্ন পার্কে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
সামু যখন ঢাকা পড়াশোনা করতো তখন তার পরিবারের আর্থিক সংকটের কথা বলে আমার বোনের কাছ থেকে প্রতিমাসে ৪ হাজার করে অনেক টাকা নিয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য কোচিং এ ভর্তির ১৫ হাজার টাকা আমার বোনের কাছ থেকে নিয়েছে । তখন আমার বোন দিনাজপুরে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নার্সের চাকরি করতো।
চলতি বছরের গত জুন মাসে সামিউল্লাহ কাইসার সামু বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর তার পরিবারের কু-পরামর্শের আমার বোনের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে আমার বোন মানসিক ভাবে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় এবং গত ১০ জুলাই থেকে উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের বেলহাড়া গ্রামের সামিউল্লাহ কাইসার সামুর বাবা জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছে। সে তাকে অনেক অত্যাচার জুলুম সহ্য করতে হচ্ছে। কিন্তু ছেলে ওই দিন থেকে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আমার বোন তাদের বাড়ি ছেড়ে না গেলে তাকে মেরে গুম করে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন বলে জানান আমরা বোন। আমার বোন আরো জানান, এতকিছুর হওয়ার পরও যদি তার সাথে আমার বিয়ে না হয় তাহলে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন রাস্তা নেই।,
এছাড়াও এই বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে বসা হলেও এখনো কোন সমাধান হয়নি। তাই আমি দুই পরিবারের সমঝোতার মাধ্যমে আমার বোনের বিয়ের বিষয়ে আপনাদের কাছে সহযোগিতা চাই।
সংবাদ সম্মেলনে এসময় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলারসহ ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।