ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি :
ড্রেজিং ও বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পরেছে নারগুন -ফেরশাডাঙ্গী এলাকার টাঙ্গন ব্রীজ।ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নারগুন ফেরশাডাঙ্গী ব্রিজের নিজ থেকে দিনে -দুপুরে অবাধে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন।
এছারাও নারগুন ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন যায়গায় প্রতিদিন ৫-৭ টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে কয়েকটি প্রভাবশালী মহল প্রতিনিয়ত বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। মাহিন্দ্র শ্রমিকরা জানায়, প্রতিগাড়ি বালু ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ও রাবিস বালু ১০০ থেকে ২০০ টাকা দরে তারা ক্রয় করে নিয়ে যায়।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় নারগুন -ফেরশাডাঙ্গী ব্রিজের নিচ থেকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চোলছে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ,এ অবস্থায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নারগুন ফেরশাডাঙ্গী টাঙ্গন ব্রিজ পরেছে ঝুঁকিতে।
অপরদিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলেও প্রশাসন কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না অভিযোগ করে এলাকাবাসীরা। মোহাম্মদপুর এলাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষক বলেন, এভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তলোন করে আমাদের আবাদি জমি নষ্ট করছে, নষ্ট করছে চলাচলের রাস্তা।
নারগুন ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের টাঙ্গন নদীতে প্রায় ৫-৭ টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে কয়েকটি প্রভাবশালি মহল বালু উত্তোলন করছেন প্রতিনিয়ত। ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাশে আবাদি জমি আর কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্রিজ হুমকির মুখে পড়েছে।
এলাকাবাসীরা জানান,আমরা প্রতিবাদ করলে দেওয়া হচ্ছে হুমকি। বালু উত্তোলনের সরকারি নিয়ম থাকলেও সেটিকে কোন তোয়াক্কাই করা হচ্ছে না। ইজারা না নিয়েই চলছে বালু উত্তলোন ও এই হরিলুট। এতে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি সিন্ডিকেট অবৈধভাবে টাঙ্গন নদী থেকে বালু উত্তোলন করে এলেও এরা বরাবরই রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিষয়টি বার বার প্রশাসনকে অবহিত করার পরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বরং বালু দস্যুরা বেপরোয়াভাবে তাদের বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে আসছে। যে কারণে ভাঙনের কবলে পড়ে নদীর পাড়ের অনেক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি, গাছপালা, কৃষি জমি হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে যায়।
এলাকাবাসীরা আরো বলেন, কয়েক মাস ধরেই বেশ কয়েকটি চক্র নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এর কারণে নদীর আশ-পাশে স্থাপনাগুলো ব্যাপক ঝুঁকিতে রয়েছে,এছারাও ড্রেজারের খালে পরে নারগুন ইউনিয়নের কহরপাড়া এলাকায় ২ জনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে এর পর কিছুদিন বালু উত্তোন বন্ধ থাকে ,কিছুদিন যাওয়ার পরে পুনরায় তা চালু হয়। এই বালু উত্তোলন বিষয়ে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মো: সামসুজ্জামান বলেন, অবৈধভাবে ড্রেজিং ও বালু উত্তোলন ধরতে আমাদের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply