জাহিদ আহাম্মেদ রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) সংবাদদাতাঃ
৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে মাছ ধরা শুরু করেছেন রাঙ্গাবালীর ১২ হাজার ৮২০ জন জেলে।
ইতিমধ্যে রাঙ্গাবালীর বেশ কয়েকটি যায়গায় নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরার সর্বশেষ প্রস্ততি নিয়ে সাগরের পথে পারি জমিয়েছে। রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ, চালিতাবুনিয়া,রাঙ্গাবালী স্লইজ ঘাট থেকে সর্বশেষ প্রস্তুতি শেষে জেলেরা কাঙ্কিত ইলিশের আশায় এখন সাগরের বুকে।
গত ২৩.০৭.২২ ইং শনিবার রাত থেকে শেষ হচ্ছে সমুদ্রে মাছ ধরার ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা।
দীর্ঘ সময় পর ফের কর্মব্যস্ত হয়ে পরবেন রাঙ্গাবালীর সমুদ্র গামি ১২ হাজার ৮২০ জন জেলে।
রাঙ্গাবালীর উপকূলের বিভিন্ন ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে সমুদ্র গামি বোট ট্রলার। কেউ প্রস্তুুত করছেন নতুন জাল,কেউ করছেন ফিশিং বোর্ট মেরামত , রঙ্গিন সাজে সাজিয়ে এখন সমুদ্রের পথে মাছ ধরার ট্রলার টি। আর দু একদিন পরেই সরগরম হয়ে উঠবে উপকূলের মাছ ঘাটগুলো। চিরচেনা রূপে ফিরবে মাছের আড়তগুলো।
জেলেরাও সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন বলে আশা করছেন।
শুধু সাগরে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন রাঙ্গাবালীর এমন নিবন্ধিত ১২ হাজার ৮২০ জন জেলের সংখ্যা রয়েছে। যারা নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিন থেকে বেকার দিন পার করে আসছেন,হতাশা গ্রস্থ জেলেরা ফিরবেন চিরচেনা সেই কর্মস্থানে।তাই আগে থেকেই জাল, ফিশিং বোর্ডসহ নানা উপকরণ নিয়ে সাগরে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো তারা। অভাব অনাটনের পর ঘরে ফিরবে স্বচ্ছলতা এমনটাই মনে করছেন রাঙ্গাবালীর জেলে পল্লীর বাসিন্দারা।
রাঙ্গবালীর বিভিন্ন জেলেদের সাথে কথা বলে জানা যায়,দীর্ঘ দিন মাছ ধরা বন্ধ থাকায় তাদের সন্তানদের নিয়ে খুব কষ্টে দিন কেটেছে, এখন মাছ ধরা শুরু হলে তাদের কষ্ট দূর হবে। তারা এত দিন ধার দেনা করে সংসারের জীবিকা নির্বাহ করেছেন। এখন সংকট কাটিয়ে নতুন করে ঘুরে দাড়াবেন এমন স্বপ্ন তাদের চোঁখ-মুখে।
সংশ্লিষ্ট মৎস্য কর্মকর্তারা জানানঃ
সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা ছিলো তাই এ বছর ইলিশের উৎপাদন বারার সম্ভবনা রয়েছে। সমুদ্রের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা সময়ে আমরা প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলেদের ৮৬ কেজি করে চাল দিয়েছি।
উল্লেখ্য যে, ইলিশসহ ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে ৬৫ দিনের জন্য মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর।
Leave a Reply