নড়াইল প্রতিনিধিঃ নড়াইল সদর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড ভাদূলীডাঙ্গা গ্রামে মায়ের বিরুদ্ধে নিজ কন্যা সন্তান কে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।আজ ১৫ দিন হয়ে গেলেও কন্যা সন্তানটির কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানান নিখোঁজ শিশুটির পিতা।
এ বিষয়ে কন্যা সন্তানটির পিতা বিপুল কাজী এ প্রতিবেদককে জানান,আমার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলায়, ভাল কাজের সন্ধানে আমি ২০১৫ সালে নড়াইলে আসি, এখানে আসার কিছুদিন পর ভাদূলীডাঙ্গার আনসার গাজীর মেয়ে নিলুফার সাথে আমার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়, আমি বউ নিয়ে শশুর বাড়িতেই ছিলাম,নিলুফার গর্ভে আমার তিনটি সন্তানের জন্ম হয়,সব কিছু ভালই চলছিল, হঠাৎ করেই নিলুফার কিছু পরিবর্তন আমার চোখে পড়ে,পরপুরুষের সাথে চলা ফেরা মেলা মেশা করতে শুরু করে সে। আমি বারংবার তাকে নিষেধ করলেও সে আমার কোন কথাই শোনেনি,ভাগ্নে কামাল সহ আরো কয়েকজনের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পরে নিলুফা, একপর্যায়ে গত ২৭/০৫/২০২২ইং তারিখে নিলুফা নড়াইল নোটারী পাবলিকের কার্যালয় থেকে আমাকে তালাক দেয় এবং নিলুফা ও তার পরিবারের সদস্যরা আমাকে নড়াইল থেকে চলে যেতে বলে।
আমি তালাকের কাগজ হাতে পেয়ে ২ / ০৬ /২০২২ইংআমার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ চলে যাই,
এর কয়েকদিন পড় আমার স্ত্রী নিলুফা আমার ছোট মেয়েকে তার কাছে রেখে আমার নাবালক দুই সন্তানকে যশোরের গাড়িতে তুলে দেয়,এবং আমাকে যশোর বাস স্ট্যান্ড থেকে তাদের নিয়ে যেতে বলে,আমার মেঝ বোনের বাড়ি যশোর হওয়ায় সে আমার বাচ্চা দুইটিকে তার কাছে নিয়ে রাখে, এর মধ্যে নড়াইল থেকে আমার শশুর বাড়ির পাশের একজন আমাকে ফোন দিয়ে বলে, বিপুল তোমার ছোট মেয়েকে তো দেখছিনা বেশ কয়েকদিন হলো,
তোমার স্ত্রী নিলুফাকে ছোট মেয়ের কথা জিজ্ঞাসা করলে কখনো বলছে মেয়েকে মেরে ফেলেছি,কখনও বলছে বিক্রি করে দিয়েছি। এর আরো দুই দিন পর সেই একই লোক আমাকে ফোন দিয়ে জানায়,
বিপুল নড়াইলে তোমরা যেখানে ছিলে সেই বাসার পাশেই একটা গর্ত দেখা যাচ্ছে, মাছি উড়তেছে, গন্ধও ছড়াচ্ছে, এবং সেখানে কুকুরের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে।নিলুফা কি সত্যিই তোমার মেয়েটাকে মেড়ে ফেলেছে? আমি একথা শুনে সাথে সাথে নড়াইলে চলে আসি। এসে আমার স্ত্রীকে ফোন করি এবং আমার ছোট মেয়ের সন্ধান জানতে চাই,নিলুফা আমাকে বলে আমি যশোরে আছি। তোর মেয়েকে আমি মেরে ফেলেছি, তুই আমার কাছে আয় আমি থানায় স্যারেন্ডার করবো।
আমি তার কথা শুনে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছি,
আমার শশুর আনসার গাজী, আমার শাশুড়ি ফাতেমা,আমাকে প্রতিনিয়ত জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে এসব বিষয় নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ না করার জন্য, এই কারনে আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। আমি নড়াইল পুলিশ প্রশাসনের কাছে আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই।
এবং আমার ছোট মেয়ের সন্ধান চাই। এই বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য অভিযুক্ত নিলুফা ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য তাদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি,
অতিদ্রুত অভিযুক্ত নিলুফা,তার পিতা- আনসার গাজী, তার স্ত্রী ফাতেমা ও পরকীয়া প্রেমিক ভাগ্নে কামাল কে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য বেড়িয়ে আসবে বলে মনে করে স্থানীয় এলাকাবাসী।