নিউজ ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ডিএনসিসি মেয়রসহ দেশের প্রতিটি মানুষ যেভাবে আমাদের সাপোর্ট দিয়েছেন এটি অভাবনীয়। আমরা খুব করে চাচ্ছিলাম রুবেলের কবরটি স্থায়ী হোক। আমাদের বাচ্চা বড় হতে হতে তো ওর বাবার কবরটি দেখেতেও পেতো না।
আমি আতিক ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ। তিনি এতো দ্রুত সময়ের মধ্যে যে রুবেলের কবরটি স্থায়ী করবে তা আমরা ভাবতেও পারিনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রয়াত ক্রিকেটার রুবেলের স্ত্রী ফারহানা রহমান চৈতি।
বুধবার (২৭ জুলাই) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অফিসে কবর স্থায়ী সংরক্ষণের অনুমোদনের চিঠি হস্তান্তরকালে এ কথা বলেন তিনি।
চৈতি বলেন, আমাদের ধারণা ছিল রুবেলের কবর স্থায়ী করতে আরও দুই বছর অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এত দ্রুত সবকিছু সমাধান হবে আমরা ভাবতেও পারছি না। আমি বোঝাতে পারবো না আমার কেমন লাগছে। আমাদের পরিবার আপনাদের কাছে চির ঋণী।
এ সময় ডিএনসিসি মেয়র বলেন, রুবেল জাতীয় দলের খেলোয়ার এবং মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্লু-ব্যাজ পুরস্কার পেয়েছেন। রুবেল মারা যাওয়ার পর তার পরিবারের আকুতি ছিল কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের। আমরা পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৯০দিনেরও কম সময়ের মধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে অনুমোদনের চিঠি হস্তান্তর করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই জানি প্রধানমন্ত্রী খেলা প্রিয় একজন মানুষ। খেলোয়ারদের যেকোনো সমস্যা উনি খুব গুরুত্বসহকারে দেখেন। রুবেলের পরিবার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আকুতি জানিয়েছিলেন কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের। সেটিকে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ে আমরা কাজটি সম্পন্ন করেছি। রুবেলের একমাত্র ছেলেটি তার বাবার স্মৃতি স্মরণ করতে পারবে।
উল্লেখ্যে, প্রায় তিন বছরের বেশি সময় ধরে ব্রেইন টিউমারের সঙ্গে লড়ে গত ১৯ এপ্রিল না ফেরার দেশে পাড়ি জমান রুবেল। জাতীয় দলের হয়ে ৫ট ওয়ানডেতে ৪ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ২৬ রান সংগ্রহ করেন তিনি।
ঘরোয়া লিগে নিয়মিত খেলে যাওয়া রুবেল প্রথম শ্রেণির ১১২ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৩৯২ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ব্যাট হাতে দুই সেঞ্চুরি আর ১৬টি ফিফটির সাহায্যে ৩ হাজার ৩০৫ রান সংগ্রহ করেন।
লিস্ট ‘এ’ ১০৪ ম্যাচে অংশ নিয়ে ১২০ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ব্যাট হাতে ৮ ফিফটির সাহায্যে ১ হাজার ৭৯২ রান সংগ্রহ করেন। আর টি-টোয়েন্টির সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ৫৬ ম্যাচে অংশ নিয়ে ৬০ উইকেট শিকারের পাশাপাশি ৬২ রান সংগ্রহ করেন রুবেল।