মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি।
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে চাঞ্চল্যকর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী হত্যার প্রধান আসামী গ্রেফতার। উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা বাঁকাকুড়া গ্রামের মো. মোমিন মিয়ার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী কন্যা মিম (১৩) কে ২৪ জুলাই রাতে হত্যার পর, তার লাশ পূর্ব বাঁকাকুড়া গ্রামের জনৈক আবু সাঈদের বাড়ির পূর্বপাশে পাঁকা রাস্তা সংলগ্ন পুকুরে ফেলে দেয় হত্যাকারী আল আমিন। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হত্যাকারী আল আমিন বাকাকুড়া গ্রামের জনৈক শাহজাহান এর মাদকসেবী ছেলে আল আমিন।
এঘটনায় র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান ২৭ জুলাই বুধবার সকাল ১০টায় শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কিশোরী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মিম হত্যার প্রধান আসামী মাদকসেবী আল আমিনকে গ্রেফতারের ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, ঝিনাইগাতী উপজেলার বাঁকাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহজাহান এর ছেলে আল আমিন ভিকটিম মিম এর সম্পর্কে জেঠা হওয়ার সুবাদে শুক্রবার দিবাগত রাতে তাকে রাস্তায় একা পেয়ে কৌশলে নদীর পাড়ে নিয়ে যায়।
পরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরে মিম এঘটনা সবাইকে বলে দেয়ার কথা বললে ধর্ষক আল আমিন কিশোরী মিম এর উড়না দিয়ে তার গলায় পেচিয়ে ওই নদীর পারে হত্যা করে তার লাশ একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে পূর্ব শক্রতার জেরধরে পূর্ব বাকাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদকে ফাঁসাতে তার পুকুরে মিম এর লাশ ফেলে দিয়ে চলে যায়।
পরদিন এলাকাবাসী পুকুরে বস্তাবন্দি লাশ দেখতে পেয়ে ঝিনাইগাতী থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে লাশ উদ্ধার করে। এঘটনা জানাজানির পর মোমিন মিয়ার মেয়ে কিশোরী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মিম এর লাশ পরিবারের লোকজন দেখে তা সনাক্ত করে।
এব্যাপারে মিমের বাবা মোমিন মিয়া বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে চাঞ্চল্যকর মিম হত্যা কান্ডের রহস্য উদঘাটন এবং প্রকৃত হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে র্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান ও সহকারি পুলিশ সুপার এম.এম. সবুজ রানার নেতৃত্বে সঙ্গীয় র্যাব সদস্যরা ২৬ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার থেকে ঝিনাইগাতী উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়।
দীর্ঘ সময় অভিযানের পর অবশেষে ঘাগড়া কামারপাড়া গ্রামের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ধর্ষক ও হত্যাকারী আল আমিনকে গ্রেফতার করে। এদিকে আল আমিন কিশোরী মিমকে ধর্ষণ শেষে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনাটি র্যাব-১৪ কর্মকর্তাদের কাছে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আল আমিনকে ২৭ জুলাই বুধবার দুপুরে ঝিনাইগাতী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।