সাঁথিয়া প্রতিনিধি :
পাবনার সাঁথিয়ার ৫ নং করমজা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ওই ইউনিয়নের বায়া গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী আলভি (২৮) আহত হয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত বুধবার সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়ে যাওয়া করমজা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫ নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে মানিক ও সালাম প্রার্থী হন। এ নিয়ে নির্বাচনের শুরু থেকেই তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। নির্বাচনে মানিক বিজয়ী হন। বুধবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার পর ক্ষিপ্ত হয়ে সালামের ছেলে নকিব (২০) রোমান (১৮),নির্বাচনী কর্মী ইসরাফিল, সানোয়ার, সোলাইমান, সিহাব, রতনসহ ১৫/২০জন কর্মী সমর্থকদের নিয়ে একই গ্রামের হাচেন ব্যাপারী ছেলে রউফ ব্যাপারী (৪৫) ও হেলাল হোসেন এর বাড়ীতে হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করে নিয়ে যায়।
রউফ ব্যাপারী জানান, কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষনার পর আমরা সবাই মানিককে নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এই সুযোগে পরাজয়ের পর ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুস সালাম তার ছেলেদের সাথে নিয়ে দলবলসহ আমার বাড়ীতে হামলা চালায়। আমার বাড়ীঘরের টিনের বেড়া কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করে, আমার ঘরের শোকেচ ভাংচুর করে আমার আলমারীতে রাখা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা পয়সা,টেলিভিশন নিয়ে যায় এবং আমার ঘরের আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এমনকি বাড়ীর লোকজনকে হুমকি দিয়ে যায় আমাকে মারার জন্য।
হেলাল হোসেন জানান, করমজা ইউপি নির্বাচনে বায়া কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষনার পর পরাজিত মেম্বর প্রার্থী আবদুস সালাম ও তার ছেলেরা মিলে এবং তার কিছু কর্মী সমর্থকদের নিয়ে আমার বাড়ীতে আক্রমণ করে। আমার ঘরের জানালা কুড়াল এবং হাসুয়া দিয়ে কুপায় এবং বাড়ীতে ইট পাটকেল ছুঁড়ে।
বিজয়ী মেম্বর প্রার্থী মানিক হোসেন জানান, সালাম নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আমার কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালায় এবং লুটপাট করে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবী জানান তিনি। এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তারা।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।