আবু সাঈদ (স্পেশাল করসপনডেন্ট)
বর্ষা বাংলাদেশের আনন্দ-বেদনার এক ঋতু। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দহন শেষে বর্ষা আসে প্রকৃতির আশীর্বাদ হয়ে। একটানা বর্ষণের পর পৃথিবীতে প্রাণের স্পন্দন জেগে ওঠে। বাংলার নিসর্গলােক সজীব হয়ে ওঠে। বর্ষার আগমনে তাই বাংলার প্রকৃতির রূপও পালটে যায়। বৃষ্টির ছোয়া পেয়ে গ্রীষ্মের বিবর্ণ প্রকৃতি হয়ে ওঠে কোমল আর সজীব। এ সময় আকাশে সারাক্ষণ চলে ঘনকালাে মেঘের আনাগােনা। এমন দিনে কোনাে কাজে মন বসে না। বর্ষা ঋতুকে নিয়ে কবি লিখেছেন_
ঐ আসে ঐ অতি ভৈরব হরষে
জল সিঞ্চিত ক্ষিতি সৌরভ রভসে
ঘন-গৌরবে নব যৌবনা বরষা
শ্যাম-গম্ভীর সরসা।
ঋতু গননার হিসেবে আষাঢ় – শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। সেই হিসেবে চলছে বর্ষা মৌসুম, কিন্তু পাবনা জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ইছামতি, কাগেশ্বরী নদীর মাধ্যমে বর্ষার পানি না থাকায় শতশত বিঘা পাট ও আমন ধান মরে যাচ্ছে।
বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন বেড়া পাম্পিং স্টেশন ও তীরমনি পাম্পিং স্টেশনের মতো কৈটোলা পাম্পিং স্টেশন একইরকম নয়! আমরা কৈটোলা পাম্পিং স্টেশনের সকল পাল্লা তুলে দিয়েছি যমুনা নদীর পানি বাড়লেই কাগেশ্বরী নদীর মাধ্যমে কাঠিয়াধার বিল, ঘুঘুদহ ছোট বিল, বড় বিল, জামাইধার বিল ও মুক্তার বিল সহ সকল এলাকায় বর্ষার পানি পৌছাবে বলে মনে করি।
এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জোর দাবি জানাচ্ছি যে বেড়া পাম্পিং স্টেশন ও তীরমনি পাম্পিং স্টেশনের মতো কৈটোলা পাম্পিং স্টেশন আধুনিকায়ন করা হোক যাতে যমুনা নদীর পানি টেনে আনতে পারে ও বাহির করতে পারে। এদিকে এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিগত বছরগুলোতে এসময় বিলে পানি ভরপুর হয়ে যায় এবার পানি এখনো আসছে না। চকপাট্টা গ্রামের কৃষক মোঃ শামীম হোসেনের সাথে কথা বলে জানা গেছে তার ২ বিঘার উপর পাট চাষ করেছেন কিন্তু পানি না থাকায় কাটতে পারছে না এজন্য পাটগুলো মরতে শুরু করেছে। এটা নিয়ে চিন্তায় দিন যাপন করছি।
প্রকৃতিও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে বৃষ্টি হচ্ছে না, হলেও যথেষ্ট নয়।
Leave a Reply