এস, এম-নুর
পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের টোনা ইউনিয়নের মুলগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দা রুলিয়া বেগম ,বয়স-৪০ অন্যের জায়গায় ১২০ বর্গফুটের ভাংগা ঘরে বসবাস।
গত ফেব্রুয়ারিতে রান্না ঘরের আগুনে দগ্ধ হয়ে রুলিয়ার কোমরের নিচের প্রায় পুরো অংশ পুড়ে যায়। পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হলেও চিকিৎসা না থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রুলিয়াকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। টাকার অভাবে হতদরিদ্র রুলিয়া চলে যায় বাড়ীতে।
অসহ্য যন্ত্রনা নিয়ে প্রায় ৬ মাস রুলিয়া কষ্টে ছটফট করে দিন কাটিয়েছে। পরিবারের সবাই রুলিয়ার বাঁচার আশাই ছেড়ে দিয়েছে।
সেই রুলিয়া বেগম এর জন্য ২১/০৭/২০২২ইং তারিখ রানীপুর ব্রিজ এর কাছে টাকা উঠানো হয়। ঐ পথ থেকে যাবার পথে জনৈক ব্যক্তি রুলিয়ার ছবি দেখিয়ে সুমন সাহেব এর কাছে ১০ টাকা সাহায্য চাইলে ছবি দেখে রুলিয়ার খারাপ অবস্থা বুঝতে পারে।
সুমন সাহেব টাকা না দিয়ে ঠিকানা নিয়ে অফিস শেষে রুলিয়ার বাড়ীতে যান। নিজ চোখে রুলিয়ার অবস্থা দেখে আঁতকে উঠে।
রুলিয়ার কান্না আর চিৎকারে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে উঠে। তাৎক্ষনিক রুলিয়ার পরিবারকে চিকিৎসার আশ্বাস দেয় সুমন ।
২৪/০৭/২০২২ ইং তারিখে ঢাকায় সুমন রুলিয়া বেগম কে নিয়ে যায়ে।
গতকাল রুলিয়া বেগমকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করাতে সক্ষম হয়ে।
এই প্রতিবেদন কে সুমন বলেন রুলিয়া একদিন সুস্থ্য হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবে এই স্বপ্ন এখন রুলিয়ার পরিবার দেখে, আমি বিশ্বাস করি।
এভাবেই অসহায় মানুষের পাশে সারাজীবন থাকতে চাই, করতে চাই সামর্থ্যের বাইরে।
বাংলাদেশে বিশ্বমানের এমন হাসপাতাল নির্মানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
সুমন আরো বলেন তাকে এই কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন বড় ভাই বিশিষ্ট সমাজ সেবক, সাবেক জি এস সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজ ,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগ পিরোজপুর জনাব নাসির উদ্দিন শিকদার (সাগর) ও ছোট ভাই হৃদয় খলিফা।
হাসপাতালে রুলিয়ার সাথে আছেন তার মেয়ে ফাহিমা। পিরোজপুর বাসির কাছে দোয়া চেয়েছে এই পরিবারটি।
পিরোজপুর সংবাদদাতা।