উচ্চপ্রু মারমা তিন পার্বত্য জেলা প্রতিনিধি।
অবহেলিত এক অসহায় বিদ্যালয়ের নাম রোয়াংছড়ি উপজেলাধীন আলেক্ষ্যং ইউনিয়নের বেখ্যং পুর্ণবাসন পাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিশেষ সূত্রের তথ্যমতে ১৯৮৫ সাল থেকে বনবিভাগের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিদ্যালয়টি পরিচালিত হত। ১৯৯২ সাল থেকে ২০০০ সাল অবধি রোয়াংছড়ি জোন কমান্ডার নিজস্ব উদ্যোগে বিদ্যালয়টি পরিচালনা করেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৪ সাল অবধি বান্দরবান পার্বত্য জেলার স্থানীয় এনজিও সংস্থা গ্রাউস এর আর্থিক সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালু থাকে। ২০০৫ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কারিতাস এর আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত হয়। এর বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পিতা মাতা হারিয়ে বিদ্যালয়টি এতিম হয়ে পড়ে। ফলে এলাকায় আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায় ছেলেমেয়েরা শিক্ষা গ্রহণ থেকে ছিটকে পড়ে। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর অনুরোধে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব থোয়াই চ প্রু মাষ্টার এর প্রবল ইচ্ছা ও ব্যবস্থাপনায় বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের জন্য প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রেইছা থলি পাড়া বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ উওয়াইনা সারা দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি কমিটির মাধ্যমে ৫ জন শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করেন। পৃষ্ঠপোষকদের আর্থিক সীমাবদ্ধতার অপ্রতুলতার কারনে শিক্ষকদের সম্মানী খুবই নগণ্য। তবে নিয়োগ প্রাপ্তরা আনন্দের সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য খুবই আগ্রহী। এখানে মজার বিষয় হলো নিয়োগপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষকই অত্র বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। বিদ্যালয় ভবনটি এখন জরাজীর্ণ থাকায় পাঠদানে একটু ব্যাহত হচ্ছে। এলাকায় শিক্ষার আলো জ্বালাতে ভবনটির সংস্কার ও সরকারিকরন এখন সময়ের বড় দাবী আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেবেন।
Leave a Reply