আশিকুল ইসলাম মিথুন চৌগাছা(যশোর) প্রতিনিধিঃ
যশোরের চৌগাছা উপজেলায় বাল্যবিবাহের আয়োজনের অপরাধে কনের বাবা ও দাদাকে ৬ মাসের কারাদন্ড ও ২০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। বৃহস্প্রতিবার (২৮ জুলাই) রাত ৯ টায় ও ১১টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার দুইটি গ্রামে মাড়ুয়া ও পাতিবিলা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস বিয়ে বন্ধ করে তাদের এ দণ্ড দেন।
বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পাওয়া কিশোরী (১৬) দুই জনই স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে পাতিবিলা গ্রামের তৌহিদুর রহমান লালনের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সঙ্গে ঝিনাইদহ জেলায় আব্দুর রহমানের ছেলে সৌরভের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন চলছিল।
একই রাত্রে ১১ টায় উপজেলার মাড়ুয়া গ্রামে মহিউদ্দিনের অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের সঙ্গে একই উপজেলার উজিরপুর গ্রামের রহিমের ছেলের সাথে বিবাহের আয়োজন চলছিল।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস কনের বাড়িতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে কনের বাবা মাড়ুয়া গ্রামের মহিউদ্দিন (৫০) ও অপরপ্রান্তে পাতিবিলা গ্রামের কনের দাদা আব্দুস সালাম (৬৫) কে ৬ মাসের কারাদন্ড ও উভয়কে ২০০ টাকা অর্থদণ্ড দেন। পাশাপাশি ছেলে ও মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাদের বিয়ে দেবেন না মর্মে উভয় পরিবারের অভিভাবকদের কাছে মুচলেকা গ্রহণ করা হয়।
এসিল্যান্ড গুঞ্জন বিশ্বাস বলেন, এই উপজেলায় বাল্যবিবাহ কোনোভাবেই হতে দেওয়া হবে না। তবে গোপনে কোনো বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিভাবক, বর, আয়োজক ও নিকাহ রেজিস্ট্রারকে আইনের আওতায় আনা হবে।বাল্য বিবাহ নামক বিষয়টি সামাজিক ঘাতকব্যধীতে পরিণত হয়েছে, কেউ বাল্য বিবাহের চেষ্টা করলে কঠিন আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোন তদবির ও সুপারিশ গ্রহণ করা হবেনা।