নিউজ ডেস্ক :
দশম শ্রেণির ছাত্রকে বিয়ে করতে অনশনে ২ সন্তানের মা
স্বামী-সন্তান থাকার পরও মোবাইলে প্রেম করেছিলেন এক কিশোরের সঙ্গে। এমনকি সম্পর্ক গড়ায় ঘনিষ্ঠতায়। পরে জানাজানি হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ওই নারী।
কেননা এখন তার বর্তমান স্বামী মেনে নিচ্ছেনা তাকে। ফলে ওই কিশোরকে বিয়ে করতে অনশনে বসেছেন দুই সন্তানের মা।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাঘায়। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে বিয়ের দাবিতে কিশোরের বাড়িতে আসেন ওই নারী। বৃহস্পতিবার বিকালে এ খবর লেখা পর্যন্ত তাকে কিশোরের বাড়িতে অনশনরত অবস্থায় বসে থাকতে দেখা গেছে। অনশন ভাঙাতে কেউ এগিয়ে আসেননি।
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে আসার পর কিশোর পলাতক রয়েছে। বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নে কিশোর প্রেমিকের বাড়িতে ৩১ ঘণ্টা যাবত অনশনে বসে আছেন ওই নারী।
জানা গেছে, দুই সন্তানের জননীর (২৪) সঙ্গে এসএসসি পরীক্ষার্থী কিশোরের (১৭) প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর কিশোরকে বিয়ের জন্য চাপ দেয় প্রেমিকা। কিন্তু কিশোর প্রেমিক বিয়ে করতে রাজি হয়নি।
কিশোর স্থানীয় এক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী আর প্রেমিকার দুইটি কন্যাসন্তান রয়েছে। একটির বয়স ৬ বছর আরেকটির বয়স আড়াই বছর।
অনশনে বসা প্রেমিকা জানান, রোজার আগে থেকে কিশোরের সঙ্গে ফোনে কথা বলা শুরু হয়। তারপর থেকেই প্রেমের সম্পর্ক হয়। কিশোর বিয়ে করবে এবং মেয়েদের দায়িত্ব নেবে বলে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছে। কিন্তু সে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে এসে অনশন করছি। সে বিয়ে না করা পর্যন্ত যাব না।
তিনি আরও জানান, ওই ছেলের সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বামী জেনে গেছেন। তিনি আমাকে আর ঘরে নেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। আমি এখন নিরুপায় হয়ে পড়েছি। তাই বিয়ে না করে আমি অনশন ভাঙছি না।
মনিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি জানার পর সেখানে গিয়েছিলাম। বর্তমানে ছেলের বাড়ির লোকদের জিম্মায় আছেন ওই নারী। ছেলেকে হাজির করতে বলা হয়েছে। ছেলে আসলে বিষয়টির সমাধান করা হবে।
বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। এটি একটি পারিবারিক ব্যাপার। তবে কেউ করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply