কুড়িগ্রাম রৌমারীতে প্রবাসীদের প্রেমের ফাদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা,
ফেসবুকে ছবি ব্যবহার করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে ছেলেদের সাথে প্রতারণা করে যাচ্ছেন সাবিনা নামের এক নারী
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, প্রকৃত নাম ছাবিনা । তবে ছারিনা ছাড়াও বিভিন্ন নামে ফেসবুক আইডি খুলে উঠতি বয়সী তরুণ, প্রবাসীসহ যুবকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন তিনি। অনলাইনে নগ্ন ছবি পাঠিয়ে ঘনিষ্ট সম্পর্ক তৈরী করে প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নিছেন লাখ লাখ টাকা।
জানা গেছে, প্রতারক ছাবিনা রুপের জাদুতে ভেলকি লাগিয়ে নিঃস্ব করছে অগনিত যুবকদের। আর একটু অসতর্ক তরুণ বা যুবকরাই তার প্রধান টার্গেট।
জানা গেছে, প্রতারণা ও দেহব্যবসার সাথে জড়িত এই নারীর বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার কাঁঠালবাড়ি বাজার পূর্ব কোনাচী পাড়া। জানা গিয়েছে সাবিনা আক্তার(২৭) পিতা, কাদের আলী,দাদা নাম খাদেমালী,এর শ্বশুর বাড়ি বাঘরচার গ্রামের,
প্রথমে ফেসবুকে টার্গেট করে ছেলেদের ফ্রেন্ড রিকুয়েষ্ট দেয় এই নারী। কিছু দিন আলাপচারিতার পর শুরু করেন অশালীন কতাবার্তা। প্রতারক ছারিনা নিজের দেহকে পুঁজি করে অগনিত ছেলেদের সাথে ছল-ছাতুরীর মাধ্যমে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন।
ছাবিনা নামের এই প্রতারকের প্রেমের ফাঁদে পড়েন এক যুবক সুজন (ছদ্মনাম) ভুক্তভোগী জানান, ‘ছাবরিনা পারভীন নামে এক প্রতারক নারী প্রেমের নামে আমাকে ফাঁদে ফেলে চাচার নামে রেজিষ্ট্রেশনকৃত +8801312993551 বিকাশ নম্বরে মোট ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার রুপে, মিষ্টি মিষ্টি কথায় তার প্রেমে পড়ে যাই। ফেসবুকে মেসেঞ্জারে দিনরাত কথা হতে থাকে, আপত্তিকর ছবিও আদান-প্রদান করে ঘনিষ্টতা বাড়াতে থাকে। এরপর এক পর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে অত্যান্ত সু-কৌশলে তার বিভিন্ন সময়ে নানান সমস্যার কথা বলে বিকাশে টাকা নিতে থাকে।
‘হঠাৎ তাকে সন্দেহ হতে লাগলে যাচাই করার জন্য আমি আমার বন্ধু মহলে নিকট তার ফেসবুক আইডিটা দিলে তারাও ফেসবুকে বন্ধুত্ব করে। ছারিনা তাদের সাথেও প্রেমের ফাঁদ পাততে চেষ্টা করে। জানতে পারি ছাবিনার ‘কঁথা আমি ভালোবাসি, রেখা আক্তার, শায়লা পারভীন, রিয়া আক্তার, এম টু এনালাইস, আশার আলো সহ নানান রকম নামে ফেসবুক আইডি রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন নামে হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমু রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এভাবে প্রতারনার জালে অনেককেই জড়িয়ে বহু পরিবারকে ধ্বংস করেছে এই প্রতারক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যুবক বলেন, এদের সাথে বিশাল সংঘবদ্ধ চক্র মিলে এই অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সাবিনা আক্তারের সাথে আছেন তার স্বামী বাবুল
তাই বিভিন্ন মহলের দাবি, দ্রুত এই সাবিনা সহ প্রতারণায় জড়িত ভূঁয়া ব্যক্তি ও গোষ্টিকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে হাজারো ছাবিনা শিক্ষা দেওয়া হোক’।
এই বিষয়ে পুলিশের সিনিয়র একজন কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে জানান, ‘ অনলাইন ব্যবহারকারীদের খুব বেশি সতর্ক হতে হবে। কারণ এখানে পদে পদে ফাঁদ আর বিপদ। যেকোনো ফাঁদে পা দিয়ে জীবন ধ্বংস হতে পারে। তাই সকলের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সকলের কাজ করতে হবে’