শাকিল আহমেদ,নড়াইলঃ
নড়াইলে পরকিয়ার বলি হলো যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইল সদর উপজেলার ৬নং তুলারামপুর ইউনিয়নের ৯নং বাকসাডাঙ্গা গ্রামে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,বাকসাডাঙ্গা গ্রামের মোঃ আলতাফ হোসেনের প্রবাসী ছেলে মোঃ শহর আলীর স্ত্রী মোছাঃ সোনালী খাতুন বিভিন্ন উপায়ে আকৃষ্ট করে একই গ্রামের মোঃমোতালেফ হোসেনের অবিবাহিত ছেলে মোঃশামিম হোসেনকে। স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে পরকিয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে উভয়ে। স্বামী শহর আলী ছুটিতে বাড়ি এসে ঘটনাটি লোক মুখে জানার পর শামিম কে হত্যার পরিকল্পনা করে বড় ভাই শামছুর রহমানের সাথে।হত্যাকান্ডের স্বীকার শামিমের মা বলেন,গত ২৫ জুলাই সোমবার রাতে খেয়ে শামিম ঘুমাতে যায়। তার পর রাত আনুমানিক ১: ৩০ মিনিটের সময় শামিমের ঘর থেকে বিপদজনক শব্দ পেয়ে ঘরে যেয়ে দেখি শামিম খাটে নাই, মাচাংয়ের তলে পড়ে আছে।
সেই রাতেই তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।চারদিন নড়াইল হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট দেওয়ার পর শামিম কথা বলে,তিনি বলেন রাতে সোনালি আমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে দুধের সাথে চেতনানাষক ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে , সোনালী,শহর, ও শামছুর বোতলে পানি ভরে হত্যার উদ্দেশ্য আমাকে প্রচন্ড মারপিট করে।
শামিমের ভাগ্নে শাহিন ভুইয়া বলেন, পরিকল্পিত ভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মামা শামিমকে ডেকে নিয়ে শহর ও সামছুর সহযোগীতায় মেরে আগাছা নাশক বিষ গালে ঢেলে দিয়েছে সোনালী।
৬ দিন নড়াইল,যশোরে চিকিৎসা নিয়ে অবস্থার অবনতি হলে গত ৩১/৭/২২ তারিখে খুলনা মেডিকেল কলেজে রেফার করে শামিমকে। সেখানে
চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। এ ব্যাপারে এই প্রতিনিধির কথা হয় ৬নং তুলারামপুর ইউপির সাবেক ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মেম্বর শিউলি বেগমের সাথে, তিনি বলেন,এটা পরিকল্পিত হত্যা।যারা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তারা পুরো নষ্ট একটা পরিবার।তাদের পরিবারে পরকিয়া মাছ ভাত।শহর আলীর পরিবারের সকল মহিলাই খারাপ ও পরকিয়া সম্পর্কে জড়িত।আমরা উপস্হিত সকলে শামিম হত্যার বিচার চাই। এ দিকে বাকসাডাঙ্গা গ্রামের বর্তমান মেম্বর জাহাঙ্গীর কাজী এ ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকের প্রশ্নে কিছুই জানেন না বলে জানান।
তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শিশির বলেন,অভিযোগের পর আমরা অভিযান চালিয়ে শহরের স্ত্রী সোনালি খাতুন কে আটক করেছি।জড়িত অন্য আসামি আটকের প্রক্রিয়া চলছে।পরবর্তী তথ্য পেলে আপনাদের জানানো হবে।
গত ১/৮/২২ তারিখে পোস্টমর্টেম শেষে শামিমের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাগসাডাঙ্গা গ্রামে জানাজা শেষে সম্মিলিত চারাবটতলা কবর স্থানে লাশের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এঘটনায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ।
শামিমের মৃত্যুতে শামিমের মা হয়েছেন পুত্র শোকে বাকরুদ্ধ, সবাই চাইছেন দোষিদের সঠিক বিচার।এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।