আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
চীনের প্রচণ্ড আপত্তি ও বাধা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে এসেছেন। ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর কেন্দ্র করে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকে তাইওয়ান দ্বীপের কাছে কয়েকটি সামরিক অভিযান চালাবে তারা। এ ছাড়া দক্ষিণ চীন সাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রে সীমান্তের কাছে বাড়ছে সাঁজোয়া গাড়ি এবং অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম।
ট্যুইটারে ‘ইয়িন সুরা’ নামের একটি হ্যান্ডল থেকে ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, চীনের ফুজিয়ানের ব্যস্ত রাস্তায় সারি সারি ট্যাংক পেরিয়ে যাচ্ছে।
অন্য একটি ভিডিওতে দাবি করা হয়েছে, পেলোসি তাইওয়ান পৌঁছানোর দিন সন্ধ্যাতেই তাইওয়ান সীমান্তের কাছে সেনাবাহিনী নিয়ে জমায়েত করতে শুরু করেছে চীন।
চীনের হুমকির মধ্যেই এশিয়া সফরের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ানে পৌঁছান। আর তার এ সফরের প্রতিক্রিয়ায় চীনের ২০টির বেশি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে।
ট্যুইটারে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, মঙ্গলবার ২১টি পিএলএ বিমান তাইওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ এলাকায় ঢুকে পড়ে।
চীনা হুমকির প্রতিক্রিয়ার পর তাইওয়ানের পূর্ব সীমান্তে চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে হোয়াইট হাউস। পেলোসির নিরাপত্তার অজুহাতে দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপরাষ্ট্রে মার্কিন যুদ্ধবিমানের বহরও ঢুকে পড়েছে।
পেলোসির তাইওয়ান সফর কূটনৈতিক এবং সামরিক দিয়ে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ হবে বলেও মনে করা হচ্ছে। ১৯৯৭ সালের পর থেকে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের কোনও শীর্যস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা তাইওয়ান সফরে গেলেন।