সাব্বির আহমেদ হৃদয়
পাবনা জেলা প্রতিনিধি
ভরা বর্ষায়ও বৃষ্টির দেখা নেই চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে। নদী ও বিলে পর্যাপ্ত পানির অভাব। সোনালী আঁশ পাট জাগের জন্য পর্যাপ্ত পানি না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের পাটচাষিরা। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পারায় অনেক চাষী পাট কেটে জমিতেই রেখে দিচ্ছেন। কেউ বা গাড়িতে করে অন্য এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন।
সোনালি আঁশের সুদিন ফিরতে শুরু করেছে। গত বছর দাম ভালো পাওয়ায় পাবনার চাটমোহরে এ বছর রেকর্ড পরিমাণ জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। সঠিক পরিচর্যার কারণে পাটের উৎপাদন বেশ ভালো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় পাট জাগ দেওয়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পাটচাষিরা।
কৃষি বিভাগ চাষিদের ছোট ও অল্প পানিতে পাট প্রক্রিয়াকরণে রিবণ রেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছে। কিন্তু কৃষক সেদিকে ঝুঁকছেননা। এখন পাট কাটা, জাগ দেওয়া আর পাটের আঁশ ছাড়ানো ও ধোয়ার কাজ চলছে পুরোদমে। গ্রাামের নারী-পুরুষ শ্রমিক এখন পাট কাটা, ধোয়ার কাজে ব্যস্ত।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চাষী ও কৃষিশ্রমিক পাট কাটা ও জাগ দেওয়ার পাশাপাশি পাট ধোয়ায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
দাঁথিয়া বালুদিয়ার গ্রামের কৃষক মোঃ জিন্নাহ আলী জানান, সাড়ে ৩ বিঘা পাট চাষ করেছি। পাট জাগ দেওয়ার পানির অভাব ২ কিলোমিটার দুরে গাড়িতে করে নিয়ে গিয়ে জাগ দিতে হবে। এতে করে খরচ বেশি পরে যাবে। এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়নি। বর্ষার পানিও বিলে আসেনি। ফলে পাট জাগ দিতে না পারায় তারা বিপাকে পড়েছেন। পাটের মান খারাপ হলে দামও কম মেলে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ. এ মাসুম বিল্লাহ বলেন, আগে চাষিরা বৃষ্টিপাত নির্ভর ছিল। আর বর্তমানে চাষিরা জমিতে সেচ ব্যবস্থায় পাটের চাষাবাদ করছেন। যার কারণে উৎপাদন হচ্ছে অনেক বেশি।
এবার তুলনামূলক বৃষ্টিপাত কম। যার কারণে উন্মুক্ত জলাশয়ে পাট জাগ দেওয়া নিয়ে চাষিদের কিছুটা সমস্যায় পরতে হচ্ছে। তবে চাষিরা রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট প্রক্রিয়া করতে পারেন। এতে অল্প পানিতে বেশি পরিমাণ পাট জাগ দিতে পারবেন। সাধারণত পাট জাগে ২০-২৫ দিন সময় লাগে। আর রিবন রেটিং পদ্ধতিতে ১০-১২ দিনে হয়ে যায়। এই পদ্ধতিতে পাটের রং ও মান অনেক ভালো হয়।