নিউজ ডেস্ক :
কুমিল্লার বরুড়ায় শিক্ষকের বেতের আঘাতে এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রের নাম মো. সিহাব। সে উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের শশইয়া গ্রামের ডিলার বাড়ির শুকুর আলী ডিলারের ছেলে।
সে ঝলম ইউনিয়নের মেড্ডা আল মাতিনিয়া নুরানি মাদ্রাসার ছাত্র। মারধরের কয়েকদিন পর শুক্রবার (৫ আগস্ট) কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া পথে তার মৃত্যু হয়। ওই ছাত্র মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রবের তত্ত্বাবধানে নুরানি শিক্ষা গ্রহণ করছিল।
ওই ছাত্রের ভাবি সাবিকুন নাহার ঝুমুর বলেন, ‘সিহাবকে কয়েকদিন আগে মেড্ডা মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রব কোনও কারণে বেত দিয়ে আঘাত করেন। এতে সিহাব অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষকরাও তাকে ওষুধ এনে খাওয়ান। তাতেও সে সুস্থ না হওয়ায় বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) মাদ্রাসা থেকে ফোন করে সিহাবের অসুস্থতার খবর জানানো হয়। পরে আমার শ্বশুর মাদ্রাসায় গিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে।
অবস্থা খারাপ হওয়ায় শুক্রবার সকালে তাকে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার আগেই দুপুর ১টার দিকে মৃত্যু হয়।’
বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. সোহেল রানা বলেন, ‘ছেলের অবস্থা ভালো ছিল না। তাই তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার জন্য বলা হয়। পরে শুনেছি, পথেই সে মারা গেছে।’
এই বিষয়ে জানতে শিক্ষক আব্দুর রবের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মেড্ডা আল মাতিনিয়া নুরানি মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান) মাওলানা আহমেদ শফি বলেন, ‘আমি তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলছি। পরে আপনাদের সঙ্গে কথা হবে।’ এই কথা বলেই কল কেটে দেন।
ঝলম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি স্থানীয় মেম্বারের কাছে শুনেছি, মাদ্রাসার একজন শিক্ষক তাকে প্লেট দিয়ে আঘাত করেছে। মাদ্রাসায় খোঁজ নিয়ে শুনেছি, এমন কিছুই তবে সিরিয়াস কিছু হয়নি। আমি এখন ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, মাদ্রাসা কমিটির সঙ্গে কথা বলে দেখি কী করা যায়।’
বরুড়া থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, ‘ঘটনা শুনেছি। এখনও কোনও অভিযোগ পাইনি। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। গিয়ে জানাবো।’