নিউজ ডেস্ক :
দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে আশপাশের দেশের সাথে মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে। তবু অনেক দেশের তুলনায় এখনো দর কম আছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে টিএসসিতে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান।
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে হাসান মাহমুদ বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর পরিসংখ্যান উল্লেখ করে বলেন, ২০২১-২২ অর্থবছরে জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ খাতে ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে সরেকম কোনো ভর্তুকি দেননি। অথচ এসব দেশে জ্বালানি তেলের মূল্য অনেক আগে বৃদ্ধি করা হয়েছে। ভারতে ডিজেলের মূল্য বাংলাদেশী মূল্য ১১৪ টাকা বহু আগে থেকে ছিলো। আর অকটেনের মূল্য ১৩৪/১৩৫ টাকা ছিলো। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে এই মূল্য আগে থেকেই বেশি ছিলো। আমাদের দেশে মূল্য কম হওয়ার কারণে সীমান্ত দিয়ে প্রচুর তেল পাচার হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে যে দাম নির্ধারণ হয়েছে তা অন্যান্য দেশে আগে থেকেই ছিলো। এখন বাংলাদেশে ডিজেলের মূল্য বাড়ানোর ফলে দাড়িয়েছে ১১৪ টাকা ভারতের কলকাতায়ও আগে থেকে ১১৪ টাকার সমমান মূল্য ছিলো, চীনে ১১৮ টাকা, আরব আমিরাতে ১২২.৮০ টাকা, নেপালে ১২৭.৮২ টাকা, ইন্দোনেশিয়ায় ১৩৮.২৪, সিংগাপুর ১৮৯.৭৮ এবং হংকং ২৬০.৭৫ টাকা। আর আমাদের দেশে মূল্য সমন্বয় করে আশেপাশের দেশগুলোর পর্যায়ে গেছে মাত্র। কিন্তু অনেক দেশের চেয়েও কম।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রতি কিলোমিটারে যাত্রী পরিবহনে খরচ বাড়বে ২৯ পয়সা। পরিবহনসহ সব খাতের মানুষের সাথে বসে সরকার এই সমস্যার সমাধান করবে বলেও জানান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব নিয়ে সরব হতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের হাতে বই তুলে দিয়েছেন আর খালেদা জিয়া ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি বলছে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে; অথচ বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছে। আসলে বিএনপি চায় বাংলাদেশ শ্রীলংকা হোক। সেজন্য সব সময় হাউকাউ করে।