মোঃ জুলহাস উদ্দিন হিরো, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি।
শেরপুরের নালিতাবাড়ি ইকোপার্কে বেড়াতে নিয়ে ভাগ্নিকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রশিদ (৪২) নামে এক লম্পট খালুর বিরুদ্ধে। আব্দুর রশিদ শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের পুর্বজারুলতলা গ্রামের মোঃ হুরমুজ আলীর ছেলে। ঘটনাটি ঘটে ২ আগষ্ট মঙ্গলবার রাতে।
স্থানীয়রা জানান, আব্দুর রশিদের শ্যালিকার ঘরের সদ্য বিবাহিত (১৭) বছর বয়সী এক যুবতী নিজ বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার চান্দাপাড়া থেকে ঘটনার দুইদিন পুর্বে তার খালু আব্দুর রশিদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। আব্দুর রশিদ ওই যুবতীর শুধু আপন খালুই নয়, তার বিয়েতে উকিল বাবাও হয়েছেন।
ঘটনার দিন মঙ্গলবার বিকালে আব্দুর রশিদ ওই যুবতী কন্যাকে পার্শ্ববর্তী নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে নানা অজুহাতে রাত পর্যন্ত রাখা হয় ওই যুবতীকে। রাতে আব্দর রশিদ ওই যুবতীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় মধুটিলা ইকোপার্ক এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ফারুক মিয়ার নেতৃত্বে স্থানীয়রা তাদের আটক করে বেধে রেখে। ইউপি সদস্য ফারুক মিয়া জানান, পরে খবর পেয়ে জারুলতলা গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ মমিন মিয়া, জারুলতলা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ছোরহাব আলী ওইগ্রামের বিল্লাল হোসেন দরবেশ আলীসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে এসে সুষ্টু বিচারের আশ্বাস দিয়ে আটককৃত আব্দুর রশিদ ও যুবতীকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু পরে এঘটনার আর কোন বিচার হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে ইউপি সদস্য মমিন মিয়ার নেতৃত্বে স্থানীয় একটি কোচক্রি মহল মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার পাঁয়তারা করে আসছেন। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকাবাসী এবিষয়ে বিচারের দাবি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই আব্দুর রশিদের স্ত্রী লিপি আক্তার ওই যুবতীকে অন্যত্র লুকিয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে। ওই ধর্ষিতা যুবতীর বিষয়ে তার খালা লিপি আক্তারের কাছে জানাতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ওই যুবতী আমার ভাগ্নি হয়। তাকে কোথায় রাখা হয়েছে তা বলা যাবে না। এ বিষয়ে আব্দুর রশিদের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন ধর্ষণের অভিযোগ সত্য নয়। সন্দেহ করে আমাকে বেধে রাখা হয়েছিল। ওই এলাকান ইউপি সদস্য মমিন মিয়া , এবিষয়ে লেখা লেখি না করতে অনুরোধ জানান।