নিউজ ডেস্ক :
জ্বালানি তেলের পর, এবার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, বিশ্ব বাজারের দরের বিবেচনায় বিদ্যুতের পাশাপাশি জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দামও বাড়ানো দরকার। তবে এ ক্ষেত্রে জনদুর্ভোগের বিষয়টিও সরকারের মাথায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সোমবার (৮ আগস্ট) তিনি এসব কথা বলেন।
তবে এর বিরোধিতা করে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) বলছে, গ্যাসের আমদানি ও বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ কমেছে। তাই দাম কমাতে হবে। গেল জুনে বেড়েছে পাইপ লাইনে সরবরাহ করা গ্যাসের দাম। দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে স্পট মার্কেট থেকে কেনা তরল গ্যাসের দাম পাঁচগুণ বাড়ার কারণ উল্লেখ করা হয়েছিলো।
স্পট মার্কেট থেকে কেনা গ্যাসের সরবরাহ ছিল দৈনিক প্রায় ২০০ মিলিয়ন ঘন ফুট। কিন্তু গেলো মাসের শেষ দিকে এই গ্যাস আর না আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এতে গ্যাস আমদানিতে যে অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছিলো, এখন আর সেটি হচ্ছে না। সেই সাথে বেশি দামের গ্যাস দিয়ে এখন আর বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে না। ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনও বন্ধ।
ফলে, বিদ্যুতের সার্বিক উৎপাদন খরচও কমেছে। এই অবস্থায় নতুন করে গণশুনানীর মাধ্যমে গ্যাস বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করার দাবি জানিয়েছে, ভোক্তা সংগঠন ক্যাব। ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে আন্দোলনকারী সংগঠন ক্যাব বলছে, গ্যাস সরবরাহে রেশনিং এবং বিদ্যুতের লোডশেডিং করার পরও দাম বাড়ানো হলে তা ন্যায়সঙ্গত হবে না।
ক্যাবের দাবি পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা বলছেন কমিশনের সদস্যরা। যদিও প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ মনে করেন, বিশ্ববাজার পরিস্থিতিতে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়তে পারে। তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে গ্যাসের চড়া দামের কারণে ব্যয় এবং ভর্তুকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেজন্য দেশের রিজার্ভের ওপর চাপ বাড়ছে। ফলে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করতে হবে।