বেরোবি প্রতিনিধি:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালিত হয়েছে।দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় আদিবাসী শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় ।শোভাযাত্রা শেষে আদিবাসী ছাত্র সংঘের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়া হয় ।
শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে পার্কের মোড় হয়ে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা স্মারক মোড়ে অবস্থান নেয়।উক্ত শোভাযাত্রায় বক্তব্য রাখেন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়া ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মিখায়েল মার্ডী। সাধারণ সম্পাদক প্রিয়দশি চাকমা।
নবনির্বাচিত সভাপতি মিখায়েল মার্ডী বলেন,বাংলাদেশে প্রায় ৪৫টিরও বেশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী (আদিবাসী) রয়েছে । আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আদিবাসী হিসেবে আমাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে। সকল প্রকার সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের সুযোগে সুবিধা দিতে হবে। কোন প্রকার বৈষম্য চলবে না।
সাধারণ সম্পাদক প্রিয়দশি চাকমা বলেন আদিবাসীরাও মুক্তিযুদ্ধে একটি বড় ধরনের অবদান রাখেন। অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে হলে আদিবাসীদের সকল ক্ষেত্রে অগ্রধিকার দিতে হবে। দখলদার,ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। অত্যাচার, দমন পীড়ন বন্ধ করতে হবে। মানুষ হিসেবে তাদের সামাজিক মূল্যয়ন করতে হবে।
পূর্ণাঙ্গ কমিটি কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন,সহ সভাপতি - বসিল তপন মর্মু, সহ-সাধারণ সম্পাদক জ্যাকসন চাকমা ,সাংগঠনিক সম্পাদকগিতা বেসরা,সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সুরেস তিগা , সহ দপ্তর সম্পাদক বিষ্ণু সরেন,দপ্তর সম্পাদক ফনে বিকাশ ত্রিপুরা, অর্থ সম্পাদক নর্ডিক মার্ডি, সহ অর্থ সম্পাদক মতি ত্রিপুরা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক প্রতিময় চাকমা, সহ প্রচার সম্পাদক বিপুল মাহাত, ক্রিয়া ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মিলজিয়াম, সহ ক্রিয়া সম্পাদক অপি ত্রিপুরা।এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত সকল আদিবাসী ছাত্র ছাত্রী এই কমিটির সাধারণ সদস্য হিসেবে কাজ করবে।
উল্লেখ্য ,ঔপনিবেশিক সময়ে শতাব্দীকাল ধরে বৈষম্য-নিপীড়ন ও জাতিগত আগ্রাসনে ৭০টি দেশে প্রায় ৪০ কোটি আদিবাসীর জীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে। বিলুপ্ত হয়ে যায় কোনো কোনো আদিবাসীর অস্তিত্ব। এ কারণে আদিবাসীদের সুরক্ষার জন্য জাতিসংঘ ১৯৯৩ সালে আদিবাসী বর্ষ ও ১৯৯৪ সালে ৯ আগস্টকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
শুধু তাই নয়, আদিবাসীদের অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়ন অংশীদারিত্বে নিয়ে আসার জন্য ১৯৯৫-২০০৪ সালকে প্রথম আদিবাসী দশক ও ২০০৫-২০১৪ সালকে দ্বিতীয় আদিবাসী দশক ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি জাতিসংঘ আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার বিষয়ক ঘোষণাপত্রও প্রণয়ন করেছে।
মো সিদ্দিকুর রহমান
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর