নিউজ ডেস্ক :
তিস্তা ও যমুনা নদীর পানি কমায় ভাঙন শুরু হয়েছে টাঙ্গাইল ও লালমনিরহাটের নদী তীরের এলাকায়। এক সপ্তাহে শতাধিক বাড়ি ঘরসহ বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে আরো বেশ কিছু স্থাপনা ও ফসলি জমি। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো কাজ না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই শুরু হয়েছে ভাঙন। যমুনার ভাঙনে শেষ সম্বলটুকুও হারানোর আতঙ্ক নিয়ে নদী পাড়ে আছেন ভূঞাপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী। এর আগে কয়েকবার হারালেও নতুন করে বাড়ি করেছেন। এবার আর সেই উপায়ও থাকবে না।
মোহাম্মদ আলীর মতো একই অবস্থা ভূঞাপুর উপজেলার খানুরবাড়ি, বেপারি পাড়া, কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া ও চিতুলিয়া পাড়া এলাকার কয়েকশ মানুষের। ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো কাজ করেনি বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর।
দুই দফা বন্যার পর এখন ভাঙনের কবলে তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা। লালমনিরহাটের সদর উপজেলা, হাতীবান্ধা, আদিতমারী ও কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিলীন হচ্ছে বাড়িঘর।
যমুনা- তিস্তার ভাঙনে টাঙ্গাইল ও লালমনিরহাটের অন্তত এক হাজার তিনশ ঘর-বাড়ি বিলীন হয়েছে