বেরোবি লাইভ:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) বাংলা বিভাগে জুম্মার নামাজের সময় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নামাজে অংশ নিতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, শুক্রবার (১২ই আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড.পরিমল চন্দ্র বর্মণ চতুর্থ বর্ষের ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের (৪২০৪) কোর্সে মিড-টার্ম পরীক্ষার জন্য বেলা ১১টায় সময় দেয়। শিক্ষক দেড়িতে আসায় শিক্ষার্থীরা জুম্মার নামাজের পর পরীক্ষা নেয়ার অনুরোধ করেন। তবুও ঐ শিক্ষক দুপুর ১২ টার পর পরীক্ষা শুরু করেন যা ১.৪০ শে শেষ হয়। এতে অনেক শিক্ষার্থী জুম্মার নামাজে অংশ নিতে পারে নি।
শিক্ষার্থীরা জানায়, শুক্রবার বিশেষ দিন। এদিন সকলে মিলে জুম্মার নামাজ পড়ি। স্যার পরীক্ষা নেয়ায় আজ আমরা নামাজ পড়তে পারিনি। আমরা স্যারকে বার বার অনুরোধ করেছিলাম জুম্মার নামাজের পর নিতে তবুও তিনি নামাজের সময়ই পরীক্ষা নেন।
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড.পরিমল চন্দ্র বর্মণ বলেন, আমি তো নামাজের সময় পরীক্ষা নেই নি। আজকে সকাল সাড়ে ১১টার সময় পরীক্ষা নেয়ার কথা ছিল। ১১.৫০ এ পরীক্ষা শুরু হয়ে ১.২০ এ শেষ হয়। খাতা নেয়া হয় ১.২৫ এ খাতা নেয়া হয়।
বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড.তুহিন ওয়াদুদ বলেন, নামাজের সময় পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি আমি জানি না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা নুরুজ্জামান খান বলেন, জুম্মার নামাজের সময় পরীক্ষার বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। তবে কোন শিক্ষক যদি নামাজের সময় পরীক্ষা নিয়ে থাকেন তাহলে তিনি বিষয়টি ঠিক করেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব রকিব উদ্দীন আহাম্মেদ বলেন,ধর্ম পালনে বাধা দেয়া সকল ধর্মের দিক থেকেই খারাপ কাজ। জুম্মার নামাজের আজানের পর নামাজ সংক্রান্ত ছাড়া অন্য কোন কাজ করা মাকরুহ। নামাজের সময় কোন শিক্ষক ক্লাস-পরীক্ষা নিতে চাইলে শিক্ষার্থীদের উচিত বিনয়ের সহিত শিক্ষককে জানানো।