নড়াইল প্রতিনিধিঃ
নড়াইলের তুলারামপুর ইউনিয়নে বাগসাডাংগা গ্রামের আলোচীত শামিম হত্যা মামলার বাদী বাবু মোল্যার চাচা ফজর আলীকে অকথ্য ভাষায় গালীগালাজ প্রাননাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ হুমকির ঘটনায় ফজর আলী বাগসাডাংগা গ্রামের মেম্বার জাহাঙ্গীর সহ আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করে নড়াইল সদর থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন। নড়াইল সদর থানার সাধারন ডায়েরী নং ৪২৭, তাং ১০ ই আগষ্ট ২০২২ইং।
ফজর আলী নড়াইল সদর থানায় দায়েরকৃত সাধারন ডায়েরীতে উল্লেখ করেছেন,
গত ৩১ শে জুলাই বাগসাডাংগা গ্রামের আলোচীত শামিম হত্যাকান্ডের ঘটনায় তার ভাইপো বাবু মোল্যা , পিতা -মৃত মোতালেব মোল্যা, সাং - দলজিৎপুর, থানা ও জেলা - নড়াইল বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন, যার সদর থানার মামলা নং ২৬। তাং- ৩১/০৭/২২ ইং,
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুলারামপুর ইউনিয়নের বাগসাডাংগা গ্রামের বর্তমান মেম্বার ১। জাহাঙ্গীর কাজী,পিতা -মন্জুর কাজী,২।আলামিন শিকদার, পিতা- শামছু শিকদার, ৩।রিপন মিনে, পিতা-আলতাফ মিনে ও ৪।মোছা: খাদিজা বেগম, স্বামী - আলামিন শিকদার বিকেল অনুমান তিনটার সময় তার বসত বাড়িতে উপস্থিত হয়ে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে বিবাদীরা ফজর আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রান নাশের হুমকিদেয়। এই ঘটনায় ফজর আলী নড়াইল সদর থানায় উক্ত সাধারন ডায়েরী করেন,
উল্লেখ্য গত ২৫ শে জুলাই ২০২২ইং তারিখ রাতে তুলারামপুর বাগসাডাংগা গ্রামের শামীমকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পাশের বাড়ির শহর আলীর স্ত্রী সোনালী খাতুন দুধের সাথে চেতনানাষক মিশিয়ে খাইয়ে তার স্বামী শহর, ভাশুর শামছুর সহযোগীতায় মারধর করে এবং একপর্যায়ে আগাছানাষক বিষ তার মুখে ঢেলে দেয়।
শামীম অচেতন হয়ে পরলে পা ধরে টেনে শামীমের ঘরের মাচার নিচে ফেলে রেখে চলে যায় আসামীরা । দির্ঘ ছয়দিন চিকিৎসা নিয়ে গত ৩১শে জুলাই ২০২২ ইং তারিখে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিকেল ৩.৫০ মিনিটের সময় মারাযায় শামিম।
উক্ত ঘটনায় বাবু মোল্যা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামীকরে নড়াইল সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে,
গত ৩১ শে জুলাই পুলিশ মামলার ১ নং আসামী সোনালী খাতুনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে,
এদিকে শামিম হত্যা মামলায় বাগসাডাংগা গ্রামের মেম্বার জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আসামীদের পক্ষে কাজ করার ও স্থানীয় এক সাংবাদিকের মোবাইলে ধারনকৃত শামিমের মৃত্যুর পূর্বে দেওয়া কিছু তথ্য প্রমান মুছে ফেলার জন্য চাপ প্রয়োগের অভিযোগ পাওয়া যায়। অভিযোগের বিষয়ে
তদন্তে গিয়ে শামিমের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসীরা মেম্বার জাহাঙ্গীরের জড়িত থাকার অভিযোগ করে এবং উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে শামিম হত্যা মামলায় জাহাঙ্গীর মেম্বার জড়িত মর্মে বিভিন্ন পত্র পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হয়।