নিউজ ডেস্ক :
নাটোরের গুরুদাসপুরে কলেজছাত্রকে বিয়ে করা শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের (৪০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছেন শিক্ষিকার চাচাতো ভাই সাবের হোসেন (৪৫)।
তিনি বলেন, রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে একটা ফোনকল আসে আমার কাছে। যেখান থেকে জানতে পারি আমার বোন নাকি আত্মহত্যা করেছেন। খবর শুনেই গুরুদাসপুর থেকে ছুটে আসি। এসে দেখি বোনের মরদেহ মেঝেতে পড়ে আছে। মরদেহের গলায় বেশ কিছু দাগ রয়েছে। আত্মহত্যা করলে মরদেহের গলায় এতগুলো দাগ থাকতে পারে না। তাই আমার মনে হচ্ছে ঘটনাটি আত্মহত্যা নয়। এটি পরিকল্পিত একটি হত্যাকাণ্ড। আমরা এ ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবি করছি৷
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, এই দম্পতির খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়। এই সমালোচনার কারনেই নাজনীন আত্নহত্যা করেছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাটির তদন্ত করছে।
এর আগে বিয়ের আট মাসের মাথায় রোববার সকাল ৭টার দিকে শহরের বলারিপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে শিক্ষিকা খায়রুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় স্বামী মামুনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভবনের বাসিন্দা ও এলাকাবাসী জানায়, রোববার ভোরে স্বামী মামুন ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানায় তার স্ত্রী খায়রুন নাহার শেষ রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের মরদেহ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। তারা মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।