অর্থনীতি ডেস্ক
বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরেক দফা কমেছে। চীনের ধীর অর্থনীতি এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উৎপাদন বৃদ্ধির আভাস দেয়ায় জ্বালানি পণ্যটির মূল্য হ্রাস পেয়েছে। প্রতি ব্যারেলের দরপতন হয়েছে ৩ ডলার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১৫ আগস্ট) ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার্সের দাম কমেছে ৩ ডলার ৪৯ সেন্ট বা ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। প্রতি ব্যারেল বিক্রি হয় ৯৪ ডলার ৬৬ সেন্টে। গত শুক্রবার এ তেলের মূল্য ১ দশমিক ৫ শতাংশ নিম্নমুখী হয়।
ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দর পড়েছে ৩ ডলার ৩২ সেন্ট বা ৩ দশমিক ৬১ শতাংশ। প্রতি ব্যারেল এ তেল বিক্রি হয় ৮৮ ডলার ৭৭ সেন্টে। এর আগে এ তেলের মূল্য হ্রাস পায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ।
গত জুলাইয়ে চীনের প্রবৃদ্ধি অপ্রত্যাশিতভাবে সংকুচিত হয়েছে। দেশটির পরিশোধনাগারের প্রতিদিন তেল উৎপাদন কমেছে ১২ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন ব্যারেল। ২০২০ সালের মার্চের পর যা সর্বনিম্ন। সম্প্রতি চীনা সরকার এক পরিসংখ্যানে এ তথ্য দেখিয়েছে
সেই সঙ্গে ২০২২ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে শুধু ৪ শতাংশের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, কোভিড-১৯ মহামারী এবং বেকারত্ব বাড়ার কারণে আগামীতে দেশটির রপ্তানি কমবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শিগগির ২০১৫ পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রকে এক প্রস্তাব দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ওই দুই দেশ তা গ্রহণ করলে তেল উৎপাদন বাড়বে।
এছাড়া ইতোমধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো তেলের উৎপাদন বাড়াতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে। যার সার্বিক প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। যে কারণে জ্বালানির পণ্যের দাম কমছে।
Leave a Reply