পিরোজপুর প্রতিনিধি :
পিরোজপুরের নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ সোমবার সকালে পিরোজপুর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্প মাল্য অর্পণ করেন জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ। সকাল ১০ টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহরের বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট হাকিম হাওলাদারের, পৌর মেয়র মো: হাবিবুর রহমান মালেক সহ জেলার বিভিন্ন বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন।
পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মিলনায়তে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায়
প্রধান অতিথি হিসেবে ভাচ্যুয়ালে বক্তব্য রাখেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এ্যাড.শ. ম. রেজাউল করিম এমপি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকি, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এম এ হাকিম হাওলাদার। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী রেবেকা খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ফুলু, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউল আহসান গাজী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক গৌতম রায় চৌধুরী, পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাদুল্লাহ লিটন। এসময় বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক ও অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন আয়োজনে বিজয়ীদের মাঝে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরণ করে পিরোজপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী এবং যুব ও যুব মহিলাদের যুব ঋণ হিসেবে ৮ জনকে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা প্রদান করে জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর।
এসময় বক্তারা বলেন বঙ্গবন্ধুকে হত্যার কুশিলব ছিলেন জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর হত্যায় পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার আজো হয়নি। ইতিহাসের কাঠগড়ায় আমাদের দাড়াতে হবে এ বিচার না হলে। শেখ হাসিনার আমলে বিচার না হলে সে বিচার আর কোনদিন হবে না। সেদিন স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনা হয়। তাদের হাইকমিশনে চাকরি দেয়া হয়। খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের প্রত্যেকটা পদক্ষেপে সহায়তা করেছেন। যারাই ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে তারা আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। ২১বার হত্যার মুখোমুখী হয়েও শেখ হাসিনা আজও দেশের মানুষের কথা ভাবেন।
পিরোজপুর প্রতিনিধি