নিউজ ডেস্ক :
বরগুনায় জাতীয় শোক দিবস পালনকালে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িসহ বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ লাঠিপেটা করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার বরগুনা শহরের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জেলা ছাত্রলীগ। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে তাঁদের সমর্থকেরা ফুল দিয়ে ফিরছিলেন। দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে পৌঁছান। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত একটি পক্ষ শিল্পকলা একাডেমির ছাদ থেকে তাঁদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলে তাঁদের ওপরও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে পুলিশ লাঠিপেটা করে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ইটের আঘাতে ভেঙে গেছে পুলিশের গাড়ির কাচ
ইটের আঘাতে ভেঙে গেছে পুলিশের গাড়ির কাচ।
এ ঘটনায় কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে শিল্পকলা ও লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে লাঠিসোঁটা ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস এম তারেক রহমান বলেন, শিল্পকলা একাডেমির সামনে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ গিয়ে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় একটি পক্ষ শিল্পকলা একাডেমিতে ঢোকে। শিল্পকলা একাডেমির দ্বিতীয় তলা থেকে পুলিশের গাড়িতে ইট ছুড়ে মারা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবির বলেন, ‘আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শোক র্যালি করে ফেরার পথে জেলা শিল্পকলা একাডেমি এলাকায় আসি। তখন শিল্পকলা একাডেমির ছাদ থেকে আমাদের ওপর একটি পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ আমাদের ওই জায়গা থেকে সরিয়ে দেয়।’
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিলেন সবুজ মোল্লা যিনি বর্তমান কমিটির সহসভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা শিল্পকলা একাডেমির দোতলায় ছিলাম। ছাত্রলীগের একটি অংশ পুস্পস্তবক দিয়ে ফিরছিলেন। তাঁরা শিল্পকলা একাডেমির সামনে এসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে পুলিশ এসে শিল্পকলা একাডেমি থেকে লাঠিপেটা করে আমাদের বের করে দেন। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হন।’
৮ বছর পর গত ১৭ জুলাই বরগুনা শহরের সিরাজ উদ্দীন টাউন হল মিলনায়তনে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২৪ জুলাই রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির অনুমোদন দেয়। সদ্যঘোষিত ৩৩ সদস্যের কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বরগুনা শহরে পদবঞ্চিত প্রার্থীরা বিক্ষোভ করে আসছেন।