নিউজ ডেস্ক :
বরগুনায় জাতীয় শোক দিবসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় আরও পাঁচ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে পুলিশ সুপার মুহম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীকে প্রত্যাহার করে প্রথমে বরিশাল রেঞ্জে এবং পরে চট্টগ্রাম রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
বরগুনা সদর থানার এএসআই সাগর, পুলিশ লাইনসের কনস্টেবল রাফিউল ও ডিবি পুলিশের কনস্টেবল কেএম সানি এই তিনজনকে প্রত্যাহার করে ভোলা জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ডিবি পুলিশের এএসআই ইসমাইল ও ডিবি পুলিশের কনস্টেবল রুহুল আমিনকে প্রত্যাহার করে পিরোজপুর জেলা পুলিশে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাই নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে মহররম আলীকে গত সোমবার বরিশালে এবং অপর এক আদেশে একই দিনই চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে। বরগুনা সদর থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) আরও পাঁচ সদস্যকে প্রত্যাহার করে অন্য জেলায় দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরগুনা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও পদপ্রাপ্তদের সমর্থকদের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ইটের আঘাতে পুলিশের গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায়। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ভেঙে যাওয়া গ্লাসের ক্ষতিপূরণ ও অপরাধীর বিচারের কথা জানান। তবে তার উপস্থিতিতেই পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ করে।