নিউজ ডেস্ক
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা প্রয়াত সামশুল আলম মাস্টারের স্ত্রী জেসমিন আক্তারকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ছেলে মাইনুলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে।
দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, মাকে গুলি করে হত্যার পর সাতকানিয়ায় আত্মগোপন করেন মাইনুল। সেখানেই একটি গুদামে হত্যায় ব্যবহৃত পিস্তল লুকিয়ে রাখেন। পরে বুধবার ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হলে কর্ণফুলি সেতু এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটি মাইনুলের বাবা জাতীয় পার্টি নেতা শামসুল আলম মাস্টারের লাইসেন্স করা বলে জানিয়েছে র্যাব।
এর আগে গত মঙ্গলবার কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মাকে গুলি করে হত্যা করেন মাইনুল। সেদিন রাতেই মাইনুলের বোন বাদী হয়ে পটিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে সামশুল আলমের স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও মেয়ে শায়লা শারমিন ব্যাংক থেকে সামশুলের রেখে যাওয়া টাকা তুলতে গেলে মাঈনুদ্দীন ক্ষুব্ধ হন। এ সময় মাঈনুদ্দীন প্রথমে বোন শায়লাকে গুলি করেন এবং পরে মা জেসমিনকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। প্রথম গুলিটি ফসকে গেলেও দ্বিতীয় গুলিটি জেসমিনের চোখের নিচে লাগে। পরে মাঈনুদ্দীন সেখান থেকে পালিয়ে যান।
গুলির শব্দ পেয়ে স্থানীয় লোকজন জেসমিন আক্তারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। তাঁকে প্রথমে পটিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে হাসপাতালে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।